দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির পর এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে তৃণমূলের যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সায়নীর বিষয়ে পুঙ্খানপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহে নেমেছেন সিবিআইয়ের কর্তারা৷ এই বিষয়ে তাঁরা ইডির কাছ থেকে তথ্যও চেয়ে পাঠিয়েছেন৷ যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শীঘ্রই সিবিআই তলব করতে পারে শাসকদলের হাই প্রোফাইল এই যুবনেত্রীকে।

বস্তত, রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পৃথক পৃথকভাবে তদন্তে নেমেছে সিবিআই, ইডি৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জোড়া তদন্তের জেরে ইতিমধ্যে গরাদে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক পদস্থ কর্তার৷ ওই তদন্তের সূত্রেই কয়েকমাস আগে তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তলকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা৷ তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কুন্তলকে জেরা করে সামনে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ইডির দাবি, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়োগ দুর্নীতির ৬.৫ কোটি টাকা সরানো হয়েছিল। সেই টাকা সরানো হয়েছিল বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে৷ বিরোধীদের অভিযোগ, কুন্তলের সেই টাকার ভাগ পৌঁছেছিল সায়নীর কাছেও৷

গত শুক্রবার এই বিষয়ে সায়নীকে টানা ১১ ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা৷ সূত্রের খবর, সেদিন সায়নীকে একটি ফর্ম ফিল-আপ করতে দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। গত দশ বছরে তাঁর সমস্ত আয়, ব্যয়, ঋণ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব জানাতে বলা হয়েছে। ফের তলব করা হয়েছে ৫ জুলাই৷ যদিও কুন্তলের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন তো দূরে থাক, ব্যক্তিগত পরিচিতির প্রসঙ্গও সায়নী এড়িয়ে গিয়েছেন৷ দাবি করেছেন, “২১ সালে তৃণমূলে যোগ দিই৷ তারপরই কুন্তলের সঙ্গে পরিচয়৷ যদি লাভান্বিত হয়ে থাকি তাহলে নিশ্চয়ই সেটা সামনে আসবে৷"

এরপরই সায়নীকে জেল হাজতে থাকা কুন্তলের সামনাসামনি বসিয়ে জেরার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ইডির অফিসারেরা৷ এমন আবহে সিবিআই নতুন করে সায়নীর বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করায়, পুরো বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বাড়তি কৌতূহল তৈরি হয়েছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত, অন্তত প্রকাশ্যে বিষয়টিকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ সায়নী৷ বরং হাবে ভাবে, রাজনৈতিক নেত্রী সুলভ প্রত্যয় দেখিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, টাকা পয়সার লেনদেন ছিল কিনা ইডি পারলে খুঁজে দেখুক।

বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে, নতুন আর কোনও মনোনয়ন নয়