শেষ আপডেট: 29th August 2021 11:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোট-পরবর্তী হিংসায় (post poll violence) আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেছেন। এই তদন্তে নেমে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম খুঁটিনাটি তথ্য তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং সেখান থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে তাঁরা রিপোর্ট (report) পাঠিয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট জায়গায়। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই হাওড়ার বেলগাছিয়া, কোনা পূর্বপাড়া, ডোমজুড় রাজীব কলোনি-সহ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকদের ১৫ জনের একটি দল। আরও কয়েকটি জায়গায় তাঁরা যাবেন আগামী কয়েক দিনে। হাওড়ায় আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী রঞ্জিত দাসের স্ত্রী, বেলগাছিয়ার বাসিন্দা দেবলীনা ঘোষ দাসের বাড়িতেও যান সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। কথা বলে রিপোর্ট নেন এ বিষয়ে। অভিযোগ, ভোটের পরে তৃণমূল কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় রঞ্জিত দাসের পরিবার। দেবলীনা ঘোষ দাসের চোখেও গভীর ক্ষত হয়। বেশ কয়েকদিন তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা, দু'জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই ভোটের পরে (election) শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যজুড়ে। দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলেছিল আদালতের বেঞ্চ। সেই তদন্ত কমিটি মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছিল। অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে ৩৩৫৪টি অভিযোগ এসেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে পুলিশ মাত্র ৬৫১টি এফআইআর দায়ের করেছে। ধর্ষণ, খুনের মতো মারাত্মক অপরাধের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী রায়দান করা হল আজ। তবে এই ভোট পরর্তী হিংসা মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা যাবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। এর পরে আদালত নির্দেশ দেয় সিবিআই তদন্তের। হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, এটা কোনও মামুলি হিংসার ঘটনা নয়। খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনার অভিযোগও রয়েছে। তাই অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যাঁরা যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। তার পর থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরে তদন্ত করছে সিবিআইয়ের স্পেশাল টিম। এখনও অবধি রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মোট ১১টি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এ সংকান্ত মোট ২৯টি খুনের এবং ১২টি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। মামলাগুলি তদন্তের জন্য ২৪ জন তদন্তকারীকে নিয়ে মোট চারটি দল তৈরি করেছে সিবিআই। প্রতিটি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন, যুগ্ম অধিকর্তা বা জয়েন্ট ডিরেক্টর পর্যায়ের এক জন করে অফিসার। খুন, খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, অনধিকার প্রবেশ, অপহরণ, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'