শেষ আপডেট: 19th August 2023 03:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সপ্তাহ পেরিয়েছে। কিন্তু তারপরেও টাটকা র্যাগিং-বির্তক। উল্টে, ক্রমশই রাজ্যের খ্যাতনামা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে এক এক করে র্যাগিং-এর ঘটনা সামনে আসছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে আগেই তৎপর হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন এক পড়ুয়া ছাত্র থাকাকালীন তাঁর উপর হওয়া ভয়াবহ র্যাগিং-এর অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন (Calcutta university raging)। এমনকী, যে পুলিশ যাদবপুর কাণ্ডে ইতিমধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে, সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই তাঁর কথা গুরুত্ব দিয়ে না দেখার অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্র (CU student alleges ragging)।
অভিযোগকারী ছাত্র ২০১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.টেক পাঠক্রমে ভর্তি হয়েছিলেন। সদ্যই স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি। এখনও তাঁর ঠিকানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জের টেক হল হস্টেল। সেখানেই নাকি দিনের পর দিন শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। ওই ছাত্রের অভিযোগ, হস্টেলে ঠিক যাদবপুরের মতোই 'ইন্ট্রো' পর্ব চলত। ঘরে বসেই মদ খেতেন সিনিয়ররা। তাঁকেও মদ খাওয়ার জন্য জোর করে হত, মদ এনে দিতে এবং গ্লাস ধুতে বাধ্য করা হত তাঁকে।
এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের নেতা অভিরূপ চক্রবর্তীর দিকে। এসএফআই-এর দাবি, এই প্রথমবার নয়, হস্টেলে আগেও একই রকম কাজ করেছেন ঘাসফুল শিবিরের ওই ছাত্র নেতা। এমনকী, হস্টেলে প্রাক্তনীরা পাশ করে যাওয়ার কয়েক বছর পরেও জাঁকিয়ে বসে রয়েছেন বলে দাবি এসএফআই-এর। ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তাঁরা।
যদিও অভিরূপ চক্রবর্তী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, মেসে খাবারের জন্য টাকা দিতেন না অভিযোগকারী পড়ুয়া। এ বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবশিস দাস জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। হোস্টেলে যে প্রাক্তন ছাত্রদের দাপট রয়েছে সে বিষয়টি প্রকারান্তরে মেনে নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান পড়ুয়ারা ছাড়া যাতে অন্য কেউ হোস্টেলে থাকতে না পারে তা তাঁরা বারবার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন।
৭ সদ্যোজাতকে খুন করল নার্স! ভারতীয় চিকিৎসকের বুদ্ধিতে হাড়হিম হত্যালীলার পর্দাফাঁস