শেষ আপডেট: 1st September 2023 13:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুল আছে, শিক্ষিকা রয়েছেন, কিন্তু পড়ুয়া নেই! পূর্ব বর্ধমানের জোতগ্রাম সাতগাছিয়া বাজার জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ে ছবিটা এমনই। গত ২ বছর ধরে, স্কুলে এসে বসে থাকেন শিক্ষিকা। কিন্তু পড়ানোর কেউ নেই। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই সংক্রান্ত মামলায় জেলা থেকে এমন স্কুলের তালিকা চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhaman) ওই স্কুলে বছর চারেক আগে ১০ জন পড়ুয়া ছিল। তার পরের বছর সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় চারে। আর গত দু'বছর ধরে ওই স্কুলে কোনও পড়ুয়াই নেই। স্কুল পরিষ্কার করার বা আলো জ্বালানোর পর্যন্ত লোক নেই, অথচ এই স্কুল আগলে বসে আছেন ইংরেজি শিক্ষিকা পার্বতী আঁশ।
এমন অবস্থায় জেলার অন্য কোনও স্কুলে বদলি চেয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পার্বতীদেবী। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য দাবি করেন, ২০১৩ সালে ইংরেজি বিষয়ে সহশিক্ষিকা হিসাবে পার্বতী আঁশ ওই স্কুলে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু দু'বছর ধরে স্কুলটিতে কোনও ছাত্র নেই। তাই জেলায় অন্য কোন স্কুলে বদলির আবেদন জানালেও তা মঞ্জুর হয়নি। অথচ কাছের স্কুলেই ইংরেজি বিষয়েই দু'জন শিক্ষিকার ঘাটতি রয়েছে।
এরপরই রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানান, ডিআইদের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। বিচারপতি বসু বলেন, 'ওই ডিআইকে (DI) আমি সশরীর হাজিরার নির্দেশ দিচ্ছি।' পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলায় এমন কতগুলি স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়া নেই অথচ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে সেই তালিকা তলব করেছেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিআইকে ওই তালিকা জমা দিতে হবে আদালতে। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৬টি ফাইল আদালতে জমা দিন, অভিষেকের মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের