দ্য ওয়াল ব্যুরো: রোজভ্যালি তদন্তে জেরা করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের খোঁজ করছে সিবিআই। শনিবার রাতে এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
সংবাদসংস্থার রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, রোজ ভ্যালি এবং সারদা চিট ফান্ড কাণ্ডে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এর আগে কয়েকবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সিবিআই দফতরে যাননি।
সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, চিট ফান্ড কাণ্ডে তদন্তের জন্য যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং টিম গঠন করেছিল সিবিআই তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সিবিআই যখন তদন্তের ভার নেয়, তখন দেখে প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণেই তাঁকে জেরা করতে চাইছে কেন্দ্রীয় এই তদন্ত এজেন্সি।
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে গত পরশু ৩১ জানুয়ারি কলকাতায় এসেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল টিম। ওই বৈঠকে যাওয়ার কথা ছিল রাজীব কুমারের। কিন্তু সেখানে যাননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার। পরিবর্তে তাঁকে নিউটাউনে ইকো ট্যুরিজম পার্কে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়।
পিটিআই জানিয়েছে, তাদের তরফে এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর দফতর থেকে বলা হয়েছে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। সম্ভবত এ দিন আর অফিসে আসবেন না। তাঁর বাড়িতে বা সোমবার তাঁকে ফোন করে দেখতে পারেন। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, রাজীব কুমারের বাড়ির যে নম্বর তাঁর দফতর থেকে দেওয়া হয়েছিল তাতে রিং বাজেনি। মোবাইল ফোনেও জবাব মেলেনি।
সংবাদসংস্থা আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি রোজভ্যালি কাণ্ডে বাংলার চলচ্চিত্র প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সম্ভবত সতর্ক হয়ে গিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে শেষ দেখা গিয়েছিল দুদিন আগে বইমেলায়।
সিবিআই সূত্র পিটিআই-কে আরও জানিয়েছে, রোজভ্যালি কাণ্ডে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছিল। সারদা কাণ্ডে প্রতারণা হয়েছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। এই দুই কেলেঙ্কারির ঘটনাতেই শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা জড়িত বলে সিবিআইয়ের দাবি। গোড়ায় এই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।