শেষ আপডেট: 4 September 2023 10:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে নবান্ন ও রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমেই চড়ছে। শিক্ষাঙ্গনে রাজ্যপালের (Governor) হস্তক্ষেপ নিয়ে এবার আরও জোরালো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
শিক্ষামন্ত্রীর (Bratya Basu) কথায়, “যেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভা থেকে তাঁকে তুলে এনে পাঠানো হয়েছে! উনি সুপ্রিম কোর্ট, ইউজিসি কাউকে মানছেন না। রাজ্যের আইনকেও বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করে, শিক্ষা দফতরকে না-জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করছেন। অথচ আইনে পরিষ্কার বলা আছে, অন্তর্বর্তী উপাচার্য় নিয়োগ করতে হলেও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।”
সম্প্রতি রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল (Governor)। যা নিয়ে বিতর্কের আবহে গত শনিবার রাজভবনের তরফে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘আচার্যর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বময় কর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মীদের। এখানে রাজ্য সরকার কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সরকারি নির্দেশ তাঁরা মানতে বাধ্য নন।’
নানা রকম তামাশার মাধ্যমে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভা জমিয়ে রাখতেন গোপাল ভাঁড়। শিক্ষা মহলের একাংশের মতে, ব্রাত্য বোঝাতে চেয়েছেন সিভি আনন্দ বোস আসলে তামাশার পরিবেশ তৈরি করছেন।
রাজ্যপালের এমন বেপরোয়া মনোভাব ঠেকাতে প্রয়োজনে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হতে পারে বলেও এদিন ইঙ্গিত
দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “আমরা তো রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেই এগোতে চাইছি। কিন্তু উনি সেটা না করে পুরো সিস্টেমটাকে ধ্বংস করতে চাইছেন। রাজ্যপালের এই তালিবানি মনোভাব আমরা বরদাস্ত করব না। ওঁর এই ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। কী করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সময় মতো আপনাদের জানাব।”
এই প্রসঙ্গেই আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “জগদীপ ধনকড় এমন করতেন না। আইন নিয়ে তর্ক হত। আলোচনা হত। এখন হচ্ছে না। এই রাজ্যপাল জেমস বন্ড মার্কা আচরণ করছেন। যাঁদের সঙ্গে শিক্ষার কোনও যোগাযোগ নেই, সেই পুলিশ অফিসার কিংবা বিচারপতিকে বসিয়ে দিচ্ছেন উপাচার্য পদে! এরপরে হয়তো মন্দির কমিটির প্রধানকে উপাচার্যের পদে বসাবেন!”
আরও পড়ুন: স্কুল ইউনিফর্ম প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ