শেষ আপডেট: 28th April 2023 10:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: মাত্র আধঘণ্টার শিলাবৃষ্টিতে (Hailstrom) গরম থেকে নিস্তার মিললেও মাঠেই নষ্ট হয়ে গেল ধান, সবজি।
বোরোধান চাষ (Rice Farming) করেছিলেন চাষিরা। মাঠে ধান পেকেও গিয়েছিল। শুধু ফসল ঘরে তোলা বাকি ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটোয়া (Katwa), কালনায় (Kalna) ঘন কালো মেঘ জমে আকাশে। শুরু হয় তুমুল ঝড়, আর তার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। আধঘণ্টার ঝড়বৃষ্টিতে সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতেও ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল। মাত্র তিন মিনিটের ঝড় ও ৪০ মিনিটের বৃষ্টি এই দুই মহকুমার চাষে বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল।
কৃষি দফতরের হিসাব বলছে, কাটোয়ায় প্রায় ৬০ শতাংশ ধান শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দু’দিনের এই কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে ধানের জমিতে। ফলে পাকা ধান মাঠ থেকে তুলতে চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
কেতুগ্রামের ধানচাষি সঞ্জয় হাঁসদা জানান, ‘এরকম শিলাবৃষ্টি এর আগে কখনও হয়নি এলাকায়। শিলার আঘাতে ধান গাছ থেকে ঝরে পড়ে গিয়েছে। এই বিপর্যয়ের ধাক্কা কীভাবে সামলানো যাবে তা বুঝতে পারছি না।’
কাটোয়ার বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ ও সুভাষ প্রধান জমিতে বোরোধান চাষ করেছিলেন। তাঁদের খেতের ফসলেরও একই অবস্থা হয়েছে। সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
কৃষিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট সহ বিস্তীর্ণ এলাকার হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে পাকা বোরোধান মাঠে পড়ে আছে। কোথাও কোথাও মাঠ থেকে জল ছেঁচে ধান তুলছে চাষিরা। আবার অনেক এলাকায় চাষিরা ধান ঘরে তোলার আশাই ছেড়ে দিয়েছেন। কাটোয়া মহকুমার পাঁচ ব্লকে ৩২,৪০০ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষ হয়েছে এবছর। বৃহস্পতিবারের শিলাবৃষ্টিতে ১৯,৫০০ হেক্টর জমির বোরোধান ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া কটোয়ায় সবজি ও ফলের চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে বাগানেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে পটল, ঝিঙে, শসা। তাছাড়াও আম ও লিচুরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চর্মনগরীর দূষিত জলে ভাসছে ভাঙড়ের তারদহ, চাষের ক্ষতিতে ঘরে ঘরে হাহাকার