শেষ আপডেট: 26th August 2023 14:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিক্ষিকার নির্দেশে ক্লাসের ৪০ জন পড়ুয়া চড় কষিয়েছেন মুসলিম সহপাঠীকে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল ওই ভিডিও। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, কান্নাকাটি করা সত্ত্বেও মুসলিম ওই পড়ুয়াকে রেহাই দেননি শিক্ষিকা। যদিও দ্য ওয়াল ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি। ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। বিজেপির বিরুদ্ধে স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যেও জাতপাতের নোংরা রাজনীতির বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে (BJP is spreading religious division in schools too) সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে ‘নোংরা’, ‘বর্বর’, ‘অসভ্য’ দল বলে আক্রমণ করে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, “গুলি মারো, কাট দো, মার দো- এই তো হল বিজেপির ভাষা! উত্তরপ্রদেশে একটি স্কুলে টিচার ক্লাসেরই একটা বাচ্চাকে দেখিয়ে বাকিদের বলছে- মুসলমান কা বাচ্চা হ্যায়! মারো! এই বাচ্চাটা কি শিখছে? ও বড় হয়ে কী করবে?”
জবাবও দিয়েছেন নিজেই। ফিরহাদ বলেন, “আজকে নরেন্দ্র মোদী জিতছেন। কিন্তু জাতপাতের এই কালচার, এটা দেশের পক্ষে মহামারী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দেশটার সর্বনাশ করে দিচ্ছে বিজেপি। এরা যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা থেকে চলে যায়, ততই ভাল।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতপাতের হিংসা রাজনীতি অবলিম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। একথাটাই স্পষ্ট করে বলতে চেয়েছেন ফিরহাদ। অপর আর একটি অংশের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে হঠাতে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম সহ ২৬টি দল মিলে গড়েছে ইন্ডিয়া জোট। জোটের সরকারকে কেন্দ্রের তখতে বসাতে হলে বাংলা থেকেও বেশি সংখ্যক আসনে তৃণমূলের জেতা জরুরি। তাই সময় থাকতেই লোকসভার ক্যাম্পেনিং সেরে ফেলছেন তৃণমলের নেতারা।
এবিষয়ে বিজেপির বঙ্গ নেতাদের সম্প্রতি মালদহ এবং হাওড়ার পাঁচলায় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। তাঁদের বক্তব্য, 'একজন শিক্ষিকা এমন মন্তব্যকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। ওঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু নিজেদের দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে তৃণমূল যে এসব প্রসঙ্গ টানছে তা বাংলার মানুষ ভাল করেই জানেন।' এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নমাজ পাঠের প্রসঙ্গ টেনে তাঁরা বলছেন, 'বাংলার মানুষ ভাল করে জানেন কে ভোটের জন্য ধর্মের রাজনীতি করেন।'