শেষ আপডেট: 12th July 2023 09:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জেতার পরেও জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে শংসাপত্র না দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে হয়রানি করার অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে উত্তর ২৪ পরগণার বাগদায় (Bagda)। গণনা কেন্দ্রে গভীর রাত থেকে প্রার্থীর সঙ্গে বসে রয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা৷
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শংসাপত্র পাননি বাগদার ৩ নম্বর জেলা পরিষদের প্রার্থী দীপালি বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ (Bjp Candidate Alleging), “গণনার সময় কারচুপির চেষ্টা হয়েছিল। তারপরেও আমি জিতে যাওয়ায় উইনার স্লিপ আটকে রেখে বিডিওকে দিয়ে হয়রানি করছে তৃণমূল।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, পদ্ধতিগত কারণেই হয়তো কিছুটা দেরি হচ্ছে। হয়রানির অভিযোগ ঠিক নয়।
উত্তর ২৪ পরগণার বাগদার ৩ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে এবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় বিজেপি ও তৃণমূলের। বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী দীপালি বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্র থেকে আমাদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের লোকজন। কিন্তু আমরা সরিনি। রাতভর গণনা শেষে সাড়ে তিনটের সময় দেখা যায়, ৫ হাজার ১৬৭ ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। দীপালিদেবীর অভিযোগ, “রাত সাড়ে তিনটে থেকে বসে আছি। বিডিও বলছেন, আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। উইনিং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ওই আর কিছুক্ষণ বলে বলে সকাল সাড়ে ১০টা বেজে গেল। এখনও আমাকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হল না।”
তিনি জানিয়েছেন, শংসাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত গণনাকেন্দ্র ছেড়ে যাবেন না। বস্তুত, বাগদার মতো রাজ্যের অন্যত্রও কয়েকটি এলাকায় বিরোধী প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন নানা ভাবে হয়রানি করছে বলে কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিটি জেলার জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে কমিশনের তরফে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুব্রত খুশ হুয়া! তিহাড়ে বসেই তৃণমূলের জয়ে উচ্ছ্বসিত কেষ্ট মণ্ডল