শেষ আপডেট: 18th August 2022 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময়ে ধর্ষিতা হয়েছিলেন বিলকিস বানো (Bilkis Bano)। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে (Rapist) মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার। এই নিয়ে দেশজুড়ে যখন ছিঃ ছিঃ চলছে তখন গুজরাতের এক বিজেপি বিধায়ক যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন।
গোধরার বিজেপি বিধায়ক সিকে রাউলজি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি জানি না, ওই ১১ জন কোনও অপরাধ করেছিল কিনা! নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য ছিল!” এরপরেই চূড়ান্ত হিন্দুত্ববাদী এই নেতাটি বলেছেন, “ওরা তো ব্রাহ্মণ (Brahmins)। আমরা সবাই জানি ব্রাহ্মণরা কতটা সংস্কারী হয়। ওদের ফাঁসাতে বা শাস্তি দেওয়ার জন্য কেউ কলকাঠি নেড়ে থাকতে পারে।”
‘অর্জুন চূড়ান্ত হতাশ, ব্যর্থ অভিনেতা’! তোপ বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্রের
বিলকিসের পরিবারের সাত জন খুন হয়েছিলেন গোধরা হিংসায়। তারপর তাঁকে গণধর্ষিতা হতে হয়েছিল। যে ১১ জন জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে তারা সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন করেছিল। দেশের শীর্ষ আদালত তা গুজরাত সরকারকে বিবেচনার জন্য বলে। শীর্ষ আদালতের পরামর্শ পাওয়ার পর ওই ১১ জনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি প্যানেল তৈরি করে গুজরাত সরকার। সেই প্যানেলে ছিলেন এই বিধায়ক।
স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লার বক্তৃতায় মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলেছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই জেল থেকে মুক্তি পায় বিলকিসের ধর্ষকরা। দেখা যায়, এলাকায় ফেরার পর তাদের মিষ্টিখাইয়ে দেওয়া চলছে।
ইতিমধ্যেই সিকে রাউলজির মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।