শেষ আপডেট: 8th June 2021 12:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে লকডাউন তুলে নিল বিহার সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে ৫ মে প্রথম চালু হওয়ার ৩৫ দিন বাদে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল নীতীশকুমার সরকার। লকডাউন উঠলেও নৈশকালীন কার্ফু বহাল থাকবে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। রাজ্যের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের বৈঠকে এমনই ঠিক হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে পৌরহিত্য করেন তিনিই।
লকডাউন প্রত্যাহারের পর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকাংশেই ফিরছে। অনেকটা ছাড় মিলছে। যেমন সরকারি, বেসরকারি অফিস ৫০ শতাংশ কর্মীরা হাজিরা নিয়ে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলবে। সব দোকানপাট সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যক্তিগত যান নিয়ে বেরনো যাবে।
কিন্তু সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মস্থান, পার্ক, মল, জিম ও সিনেমা হল পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সামনের সপ্তাহে সরকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না, ততদিন অনলাইনে ক্লাস চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এখনও কিছুদিন ভিড়ভাট্টা এড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে অভিমত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা আধিকারিকদের পাঠানো নির্দেশ অনুসারে সরকারি, বেসরকারি অফিসে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নেই। দোকানপাট চলবে একদিন খোলা, আরেকদিন বন্ধ--এই নিয়ম মেনে।
বিহারে চালু হওয়ার পর থেকে চারবার লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে। শেষ বেড়েছে ২ জুন।
বিহারে ক্রমবর্ধমান কোভিড ১৯ সংক্রমণের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার লকডাউনের সময় মন্ত্রীদের নিজ নিজ কেন্দ্র বা জেলায় যাওয়ার ওপরও বিধিনিষেধ চাপিয়েছিল।
কিন্তু তার মধ্যেই লাগাতার কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বিহারে। সংক্রমণের পজিটিভিটি রেট ১ শতাংশের নীচে নেমেছে, সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশ ছুঁয়েছে। এর জেরেই লকডাউন থেকে বেরনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতীশ।
গত ৬ জুন বিহারের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ সংখ্যা ৭ লাখ ১৩ হাজার ১১৭বলে জানায়। সেদিনই নতুন সংক্রমণ ছিল ৯২০টি। সাম্প্রতিক কালের সর্বনিম্ন করোনা সংক্রমণ কেস। যদিও রবিবারই মারা যান ৪১ জন। রাজ্যে মোট মৃত এপর্যন্ত ৫৩৮১। রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় সাত লাখ লোক। মোট ১ কোটি ১১ লাখ লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে,যাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ ১৮ থেকে ৪৪ বছরের বয়সসীমার।