শেষ আপডেট: 9th June 2021 15:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোভিশিল্ড না কোভ্যাক্সিন? কোভিড ১৯ মোকাবিলায় কার ক্ষমতা বেশি? দিনকয়েক আগে এক প্রাথমিক গবেষণায় পাল্লা ভারী ছিল কোভিশিল্ডের দিকে। তাতে কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কোভিশিল্ড বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করে বলে দাবি করা হয়েছিল। আজ বিবৃতি দিয়ে দেশীয় ভিত্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেক ওই প্রাথমিক রিসার্চে ‘বেশ কিছু গলদ, ত্রুটি’ আছে বলে জানিয়ে তা খারিজ করে দিল। ভারত বায়োটেকের দাবি, ওই রিসার্চের বৈজ্ঞানিক প্রেক্ষাপট নেই, তা করা হয়েছে অ্যাড হক ভিত্তিতে। তারা বলেছে, ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনগুলির প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর স্পাইক প্রোটিন প্রতিরোধে কার কতটা ক্ষমতা, সে ব্যাপারে সম্প্রতি এক তুলনামূলক মূল্যায়ন করা হয়। সেই মূল্যায়নে বেশ কিছু খামতি ছিল। একটি জার্নালে বলা হয়, তুলনামূলক রিপোর্টে কোভ্যাক্সিনের চেয়ে কোভিশিল্ডে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় বলে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ-গবেষকদের দিয়ে সেটি রিভিউ করা হয়নি। পরিসংখ্যানগত বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ওই রিসার্চ করা হয়নি। আগাম ধারণার ওপর ভিত্তি করে না এগিয়ে বরং অ্যাড হক ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাছাড়া ওই রিসার্চ সিটিআরআইয়ের ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত হয়নি, সিডিএসসিও, এসইসি-ও তা অনুমোদন করেনি। কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের যাবতীয় তথ্য, ডেটা জুলাইয়ে প্রকাশ করা হবে, তারপর তার পূর্ণ লাইসেন্সের জন্য তারা আবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। বলেছে, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ডেটা প্রথম পেশ করা হবে সিডিএসসিও-র কাছে, তারপর যাবে গবেষকদের রিভিউ করা জার্নালগুলিতে। সেটি প্রকাশের জন্য তিন মাস সময় থাকে। আগেও বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের ফেজ থ্রি-র ফলের সম্পূর্ণ ডেটা জুলাইয়ে প্রকাশ করা হবে। সেই ডেটা পাওয়া গেলে ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিনের সম্পূর্ণ লাইসেন্স চেয়ে আবেদন জানাবে। গত জানুয়ারিতে কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও কেন এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে ভারত বায়োটেকের প্রবল সমালোচনা হয়।