শেষ আপডেট: 26th July 2023 13:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের যে কয়েকটি এলাকায় বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল ভাঙড় তারই অন্যতম। এবার সেই অশান্ত ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য আলাদা ডিভিশন তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। এতদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীনে ছিল ভাঙ়ড় ও কাশীপুর থানা। বুধবার বিকেলে নবান্ন থেকে আলিপুর বডিগার্ড লাইনে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার সময় পুলিশ কমিশনারকে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড় এবং সংলগ্ন এলাকার জন্য পৃথক ডিভিশন তৈরি করা যায় কি না, তাও ভেবে দেখতে বলেন।
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বারে বারে তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। ভোট পর্বে ভাঙড় সাক্ষী থেকেছে সাতটি ‘লাশে’র। গত ১১ জুলাই গণনার দিন সন্ধ্যে থেকে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই আইএসএফ কর্মী সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে দু’দফায় আরও চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহতের সংখ্যা একাধিক। ভাঙড়ের ঘটনার জেরে সামগ্রিকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাও।
সম্প্রতি ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ভাঙড়ের অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ‘হাঙরে’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘রাজ্যের মোট বুথের সংখ্যা ৭১ হাজার। সেখানে তিনটে জায়গায় গোলমাল হল। তার মধ্যে রয়েছে ওই ভাঙড়, যেখানে ওই হাঙরেরা গন্ডোগোল করেছিল।”
যদিও ভাঙড়ে জারি থাকা ১৪৪ ধারা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিকভাবে আইএসএফকে মোকাবিলা করতে না পেরে পুলিশ দিয়ে ভাঙড়ের দখল নিতে চাইছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: একটা লড়াই চলছে, যুদ্ধ এখনও বাকি! মানিক ভট্টাচার্য মামলায় মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের