শেষ আপডেট: 18th September 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মিড ডে মিলের চালের বস্তা চেয়ে নির্দেশিকা জারি করেছেন মালদার গাজলের বিডিও উষ্ণতা মোক্তান। স্কুলে স্কুলে এই নির্দেশিকা পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের বক্তব্য, এই নির্দেশিকার মাধ্যমে আসলে শিক্ষক সমাজকেই অপমান করা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁরা চিঠি লিখছেন বলে.জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বুধবার গাজলের এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এই সার্কুলার স্কুলে স্কুলে পাঠানো হয়েছে। যদিও গাজলের বিডিও জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই এই সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। গাজল ব্লকের হাই স্কুল , জুনিয়ার হাই স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, এসএসকে শিক্ষকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করেন বিডিও উষ্ণতা মোক্তান। তাতে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, প্রতি মাসে যখন শিক্ষকরা চালের হিসেব দিতে আসেন, সেই সময়ে খালি বস্তা নিয়ে এসে জমা দিতে হবে। শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকেও চরম বিরোধিতা করা হয়েছে এই নির্দেশিকার। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষকরা কুলি নন। খালি চালের বস্তা হিসেবে নিতে হলে ডিলারের কাছে যান । হুঁশিয়ারির সুরে তাঁরা বলেছেন, অবিলম্বে এই নির্দেশনামা প্রত্যাহার না করা হলে মাথায় চালের বস্তা নিয়ে ভিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিডিও উষ্ণতা মোক্তার বলেন, "সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমি এই নির্দেশনামা জারি করেছি । ২০১৩ সালে শিক্ষা দফতরের নির্দেশ রয়েছে। সমস্ত স্কুলকে মিড ডে মিলের সামগ্রীর খালি বস্তা ফেরত দিতে হবে। স্কুলের শিক্ষকদের সেই কাজ করতে হবে। খালি বস্তা বিক্রি করে সেই অর্থ পুনরায় মিড ডে মিলের ফান্ডে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই নির্দেশের যে কেউ বিরোধিতা করতে পারেন। নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজ করা হয়েছে।"