শেষ আপডেট: 7th May 2022 07:47
Bankura Death: একই বাড়িতে মারা গেছেন ভাই, টেরও পেলেন না দাদা-বৌদি! বাঁকুড়ায় সাংঘাতিক কাণ্ড
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একই বাড়িতে থাকতেন দাদা-ভাই। দাদা সপরিবারে, ভাই একা। বিয়ে করেননি। একই বাড়িতে সেই ভাই মারা গিয়ে (Bankura Death) পড়ে রইলেন, টেরও পেলেন না দাদা-বৌদি! দেহ পচেগলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে তবে হল জানাজানি, তার পরে এল পুলিশ!
জানা গেছে, বাঁকুড়া শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা এলাকার ঘটনায় অনেক বছর ধরে নিজেদের বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন অশোক কর্মকার। একই বাড়িতে থাকতেন অবিবাহিত ৫৬ বছর বয়সি ভাই সনৎ কর্মকারও। বৈষয়িক ব্যাপার নিয়ে গন্ডগোল ছিল দাদা-ভাইয়ের। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। তাই দাদা-বৌদি টেরও পাননি মারা গেছেন সনৎ! যখন টের পেলেন, তখন দেহ পচেগলে একশা (Bankura Death)। তার পরেও অবশ্য ডাক্তার ডাকার বা সৎকার করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি দাদা-বৌদির।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধে থেকে এলাকায় উৎকট পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাত যত বাড়তে থাকে ততই দুর্গন্ধ বাড়তে থাকে। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে দুর্গন্ধের উৎস খোঁজার চেষ্টা করেন তখন অশোক কর্মকার জানান, তাঁর ভাই সনৎ শুক্রবারই দুপুরে মারা গেছে। সেই মৃতদেহ বাড়িতে রয়েছে। সেই মৃতদেহ থেকেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে (Bankura Death)।
এর পর স্থানীয়রাই বাঁকুড়া সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। মৃতের দাদা অশোক কর্মকার দাবি করেন, শুক্রবার দুপুরে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে ভাই মারা গেছেন। তার পরে তিনি কেন কাউকে খবর দেননি, সে উত্তর মেলেনি তাঁর কাছ থেকে।
এলাকার মানুষ ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ব্যাক্তির মৃত্যু (Bankura Death) হয়েছে কমপক্ষে দু'দিন আগে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
যমজ ঘূর্ণিঝড় আসছে, টানাটানি দুই ঘূর্ণাবর্তের, কে বেশি শক্তিশালী