শেষ আপডেট: 15th July 2020 13:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউন সত্ত্বেও চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে ৫৫০ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিক তথা এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ব্যাঙ্ক যে নিট মুনাফা করেছিল তার তুলনায় এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে নিট মুনাফা ৬.৩৮ শতাংশ বেড়েছে। বুধবার ব্যাঙ্কের তরফে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। চলতি অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এটা ইতিবাচক বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে গত আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে বন্ধনের নিট মুনাফা ছিল আরও বেশি। তা ছিল ৮০৪ কোটি টাকা। সেই তুলনায় নিট মুনাফা ৩১.৬ শতাংশ কমেছে। তার অবশ্য একটি কারণও রয়েছে। কোভিডের জন্য ইতিমধ্যেই ঘরোয়া অর্থনীতি সংকটের মুখে। এ ধরনের আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ন্যূনতম কিছু অর্থের সংস্থান রাখার পরামর্শ দিয়েছে। কোভিডের সংকট মোকাবিলার জন্য আপৎকালীন খাতে বন্ধন তার থেকে অনেক বেশি অর্থের সংস্থান রেখেছে। হিসাব মতো এই খাতে ৭৫০ কোটি টাকার সংস্থান রেখেছে বন্ধন। সেই কারণেই নিট মুনাফা কম করে দেখানো হয়েছে। বুধবার ওই বিবৃতিতে ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসার আয়তন ২৪.৯৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,৩৪,৯৪১ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের মোট আমানতের বহর এখন ৬০,৬১০ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট(কাসা) মিলিয়ে আমানত ৪৭.৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২,৪৭৩ কোটি টাকা। তা ছাড়া ঋণের খাতাতেও বৃদ্ধি হয়েছে। গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের বহর ১৭.৬৮ শতাংশ বেড়েছে। মোট ঋণ তথা অগ্রিমের আয়তন এখন ৭৪৩৩১ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের এনপিএ তথা অলাভজনক সম্পত্তি এখন 0.৪৮ শতাংশ। তাৎপর্যপূর্ণ হল, চলতি মন্দার পরিস্থিতিতেও অলাভজনক সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে বন্ধনের। গত আর্থিক বছরের শেষে তা ছিল ০.৫৮ শতাংশ। এ বার তা আরও ০.১০ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কিং অপারেশন শুরু করেছিল বন্ধন। এ বছর অগস্ট মাসে ব্যাঙ্কের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। এই পাঁচ বছরের মধ্যে বন্ধন ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের পুরো সময়টা জুড়ে দেশে লকডাউন চলেছে। তবে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমস্ত রকম নিয়ম নির্দেশ মেনে আমাদের ব্যাঙ্ক শাখাগুলি কাজ চালিয়ে গিয়েছে। এই কঠিন সময়েও আমরা আমাদের গ্রাহকদের নিরন্তর পরিষেবা সুনিশ্চিত করেছি। প্রথম ত্রৈমাসিকের এই ফলাফলে বন্ধনের উদ্যমী চরিত্রেরই প্রতিফলন রয়েছে”।