শেষ আপডেট: 22nd December 2020 17:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ক্যানিং হাসপাতাল চত্বর থেকে চুরি যাওয়া শিশুকন্যাকে উদ্ধার করল পুলিশ। আটক ২ জন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের স্পেশাল টিম অভিযান চালিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বর থেকে চুরি যাওয়া ১০ দিনের শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ ফারুক লস্কর ও তার স্ত্রী সাহানারা লস্করকে আটক করেছে। দুজনেরই বাড়ি জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরীফের দক্ষিণ মাকালতলা গ্রামে। সোমবার দুপুর একটা নাগাদ ৯ দিনের শিশুকন্যাকে নিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে জন্মের শংসাপত্র নিতে এসেছিলেন আকিবা মোড়ল। সঙ্গে ছিলেন আকিবার দিদিমা মদিনা শেখ। দিদিমার কাছে বাচ্চাকে রেখে হাসপাতালের ভিতরে গিয়েছিলেন আকিবা। অভিযোগ, তখন এক অপরিচিত মহিলা মদিনা সেখের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়। এরপর শিশুটিকে কোলে তুলে নেয়। কথা বলতে বলতেই জোর করে মদিনাকে শিশুর জন্য ডায়াপার আনতে পাঠায়। ডায়াপার কিনে এনে আর ওই মহিলার দেখা পাননি তাঁরা। ততক্ষণে শিশুটিকে নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই মহিলা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেই ফুটেজে পাওয়া সূত্র ধরেই চলে তল্লাশি। মঙ্গলবার রাত সাতটা নাগাদ গোপনসুত্রে খবর পেয়ে ক্যানিং থানার ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকার দক্ষিণ মাকালতলায় তল্লাশি চালায়। শিশুটির হদিশ পেতে ছদ্মবেশে যাওয়া পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্ত সাহানারার বাড়ির সামনে বেশকিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। সেই সময় অভিযুক্তের বাড়িতে তালা লাগানো ছিল। একসময় হতাশ হয়ে ফিরে আসার জন্য তোড়জোড় শুরু করে ক্যানিং থানার পুলিশ টিম। ইতিমধ্যে শিশুকন্যাটি কেঁদে ওঠে। আওয়াজ পেয়ে পুলিশ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাড়িটির কাছে এগিয়ে যায়। দরজা খুলতে বলেন। তালা লাগানো দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্তের বাবা ও মা। তাদের জিঞ্জাসাবাদ করে পাশের ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রী সহ চুরি যাওয়া শিশু কন্যা পেয়ে যায় পুলিশ। এরপরেই চুরি যাওয়া শিশু কন্যাকে তার মা বাবার হাতে তুলে দেয় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ৪ বছর আগে বিয়ে ফারুকের সঙ্গে বিয়ে হয় সাহানারার। কিন্তু কোনও সন্তান হয়নি তচাঁদের। তাই মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল সাহানারার। সোমবার সাহানারা ক্যানিং হাসপাতালে আসে। সেখান থেকেই সুযোগ বুঝে শিশুকন্যাকে নিয়ে চম্পট দেয়। তবে এই দম্পতি শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।