শেষ আপডেট: 17th March 2023 06:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বিশ্ব বাংলার লোগো (Biswa Bangla logo) জাল (forging) করে বালি পাচারের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানে (Burdwan)। বিষয়টি সামনে আসার পরেই সব থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার রুখতে সক্রিয় হয় প্রশাসন। পরিবহণ দফতর ওভারলোড বালির গাড়ি আটকাতে অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার শক্তিগড়ে সন্দেহের বশে একটি বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাক আটকানো হয়। অভিযোগ, ট্রাকের ড্রাইভার সেইসময় আধিকারিকদের মেজাজ দেখায়। তার কাছে অনুমতি আছে বলে দাবি করে যে কুপন দেখায়, তাতে বিশ্ববাংলা লোগোর পাশাপাশি ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’ লেখা আছে।
এরপরেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালুই করেনি। বিষয়টি পরিবহণ দফতরের শীর্ষ কর্তাদের জানানো হয়। আশেপাশের জেলাকে সতর্ক করা হয়। জানা গেছে, বীরভূমের ইলামবাজার থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল ট্রাকটি। সেই কারণেই সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, “এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।” বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তিনি বলেন, “জেলায় বালি-কয়লা সব পাচারেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। বালিপাচারে দুর্নীতির এই চক্র চলছে শাসকদলের মদতে।”
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, “সরকার এ ধরনের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারার বক্তব্য, “এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রেভিনিউ আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
রাহুল বিতর্কে সংসদের দুই কক্ষই মুলতুবি সোমবার পর্যন্ত, সরব কংগ্রেস