শেষ আপডেট: 20th October 2021 11:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর পরে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে নবান্ন। মঙ্গলবার সন্ধেয় রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও যোগ দেন ওই বৈঠকে। মুখ্যসচিব পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোভিড টেস্ট আরও বাড়াতে হবে। ফের কড়া হবে রাতের বিধিনিষেধ। তাছাড়া করোনার টিকাকরণ (Vaccine) বাড়ানোয় বেশি জোর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। তাঁর বক্তব্য, ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ ঊর্ধ্ব সাত কোটিকে টিকার অন্তত একটি ডোজ দেওয়া শেষ হবে। তারই পরিকল্পনা চলছে জোরকদমে। পুজোর পর থেকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে বলেই জানা গেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। কলকাতা সহ কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছেছে। পরিসংখ্যাণ বলছে, গত চার সপ্তাহে কলকাতায় সংক্রমণের হার ২.৭১ শতাংশ থেকে এক লাফে ৩.৬৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার হালও তেমন। দক্ষিণে হাওড়া, হুগলিতেও সংক্রমণের হার বেড়েছে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। কাজেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোভিড টেস্টিং ও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে জোর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। করোনার টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারেই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের জন্য বরাদ্দ টিকার সবটা পাঠানো হচ্ছে না সময়মতো। তাছাড়া কিছুদিন আগেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকার ঘাটতির কারণে টিকাকরণ কেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পুজোর চার দিনেও টিকাকরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন পুজো মিটেতে ফের নতুন উদ্যোমে টিকাকরণ শুরু করার কথা বলেছেন মুখ্যসচিব। দেশে যেমন গত এপ্রিল অবধি টিকাকরণে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গও টিকাকরণ কর্মসূচীতে নজির গড়ে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যাণ বলছে, চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও টিকাকরণ শুরু হয়। সেই দিন থেকে গত ৩০ এপ্রিল অবধি এক কোটি টিকাকরণ হয় বাংলায়। আর গতকাল ১৯ তারিখ অবধি সেই সংখ্যাই ৬ কোটি ৭৫ লক্ষে পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে টিকার ফার্স্ট ডোজ নিয়েছেন ৪ কোটি ৯০ লক্ষ, সেকেন্ড ডোজ ১ কোটি ৮৫ লক্ষ। নবান্ন সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ উর্ধ্ব সকলকে টিকার ফার্স্ট ডোজ দেওয়া শেষ হবে। তারই প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যের কোন জেলায় কত টিকাকরণ হয়েছে—