শেষ আপডেট: 23rd June 2022 12:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়মের ঘটনা নিয়ে গুচ্ছ মামলা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারধীন। ওই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দ্রুত ও ন্যায় বিচারের নামে হাততালি কুড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে মনে করেন রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ (Arunabha Ghosh)।
তাঁর কথায়, বিচারপতি একতরফা নির্দেশ জারি করছেন। অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনছেন না। তিনি বিচারের নামে প্রহসন করছেন।
রাজ্যের এই বিশিষ্ট আইনজীবী রাজ্য কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ স্তরের নেতা। রাজনীতিতে তিনি বর্তমান সরকারের ঘোরতর বিরোধী বলে পরিচিতি। আদালতেও একাধিক মামলায় রাজ্য সরকারকে নাস্তানাবুদ করেছেন। নারদ মামলায় এমনকি অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে ফেলেন এক কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতিকেও। ঠোঁটকাটা স্বভাবের এই আইনজীবীর কথায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে। কিন্তু আদালত স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারে না।
অরুণাভ বলেন, ওই বিচারপতি কাউকে চাকরি থেকে অপসারণ করছেন। বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ জারি করছেন। কাউকে পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন। অথচ, নির্দেশ জারির আগে তাঁদের বক্তব্য শুনছেন না।
অরুণাভর আরও বক্তব্য, বিচারপতির কাজ হল, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা। তাছাড়া অভিযোগ যত গুরুতর হোক না কেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ সকলের প্রাপ্য। কিন্তু শিক্ষা সংক্রান্ত মামলায় বিচার ব্যবস্থার সেই মৌলিক কর্তব্য অগ্রাহ্য করছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ‘জ্যাঠামশাই’ বলছেন আমি আইন জানি না, দু-এক মাসেই টের পাবেন: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
অরুণাভ বলেন, বিচারপতি সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ দিতে পারেন। কিন্তু তিনিই ঠিক করে দিচ্ছেন কে কখন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন। অথচ যাঁদের এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তাঁরা কেউ ফেরার আসামী নন। তাছাড়া, আইনের পথে কেউ সিবিআই-কে এড়ানোর সুযোগ নিতেই পারেন। সিবিআইয়ের কাছে কে যাবে, কখন যাবে সেটা ঠিক করবে তদন্তকারী সংস্থা। বিচারপতি কী করে দিন-তারিখ ঠিক করে দিতে পারেন?
অরুণাভর বক্তব্য, বিচারপতি গ্যালারি শো করছেন। অনেক মানুষ মনে করছেন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাই হাততালি পাচ্ছেন। বাস্তবে, বিচারের নামে অবিচার করছেন।