Date : 14th Jun, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
পাকিস্তানের গুলিতে ভেঙে পড়েছিল গুজরাতের আর এক মুখ্যমন্ত্রীর বিমান, মৃত্যু হয়েছিল তাঁরও নতুন করে পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা! ইরানের প্রতিজ্ঞা, 'ইজরায়েলকে ঘুমোতে দেব না'ইউনুস-তারেক বৈঠকের সূত্রধর খলিলুর, বিএনপি যাঁর পদত্যাগ চেয়েছিল, আগের রাতে তৈরি যৌথ বিবৃতি হস্টেলে বিমান ভেঙে পড়ে ডাক্তারি পড়ুয়া সহ ১০ জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক অনেকেইবিশ্বজুড়ে সব দূতাবাস বন্ধ করল ইজরায়েল! ইরান-সংঘাতের মাঝে মোদীকে ফোন নেতানিয়াহুর কোর্টের অর্ডারের জন্য বহু বেআইনি নির্মাণ ভাঙা যাচ্ছে না, জনতাকে জানাতে 'নয়া কৌশল' মেয়রেরকলকাতার এই শোরুমে পাওয়া যায় কাশ্মীরের ইউনিক সব শাড়িঅভিজিতের মুচমুচে চিকেন রোল, পুরোটাই ডিপ ফ্রায়েডআন্দুলের জমিদারের বাগানবাড়িতে গড়ে ওঠা হাসপাতালের একী দশা!একজন চাকরি ছাড়তেন, অন্যজন শুরু করেছিলেন! অভিশপ্ত বিমানের দুই পাইলটের গল্প ভিন্ন, শেষ এক...

পার্কস্ট্রিটের বন্দুকবাজকে ধরতে রুদ্ধশ্বাস অপারেশন লালবাজারের, উৎকণ্ঠার দেড়ঘণ্টা

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন মুলুকে যা আকছাড় ঘটে কার্যত তেমনটাই ঘটে গিয়েছে শনিবার সন্ধেবেলার কলকাতাতে। পার্কস্ট্রিটের (Park street) পাশে কিড স্ট্রিটে জাদুঘর লাগোয়া সিআইএসএফ (CISF) ব্যারাকে সহকর্মীদের দিকে একে-৪৭ তাক করে গুলিবৃষ্টি করেছে এক জওয়

পার্কস্ট্রিটের বন্দুকবাজকে ধরতে রুদ্ধশ্বাস অপারেশন লালবাজারের, উৎকণ্ঠার দেড়ঘণ্টা

শেষ আপডেট: 6 August 2022 18:23

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন মুলুকে যা আকছাড় ঘটে কার্যত তেমনটাই ঘটে গিয়েছে শনিবার সন্ধেবেলার কলকাতাতে। পার্কস্ট্রিটের (Park street) পাশে কিড স্ট্রিটে জাদুঘর লাগোয়া সিআইএসএফ (CISF) ব্যারাকে সহকর্মীদের দিকে একে-৪৭ তাক করে গুলিবৃষ্টি করেছে এক জওয়ান।

ঘটনায় একজনের মৃত্যু (Died) হয়েছে। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। ওই ঘটনা ঘটে সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ। তারপর দেড় ঘণ্টা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না গুলি চালানো জওয়ানকে। শেষমেশ রুদ্ধশ্বাস অপারেশনে তাকে বাগে আনে (Arrested) কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।

কী ভাবে চলল সেই ঘটনাক্রম দেখে নিন এক নজরে—

ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে কলকাতা পুলিশ। পৌঁছে যায় কমান্ডো বাহিনী।

প্রথমে রক্তাক্ত দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এরপর তল্লাশির তোড়জোর শুরু করে লালবাজার।

সাতটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয় অপারেশন।

কলকাতা পুলিশের একাধিক ডিসিপিকে নিয়ে গড়া হয় টিম। প্রথমে ব্যারাক চত্বর অন্ধকার করে দেওয়া হয়। একটি টিম হাতে লেজার টর্চ ও ড্রাগন লাইট নিয়ে মাইকিং করতে করতে সিআইএসএফ ব্যারাকের ভিতরে ঢোকে। মাইকে ওই বন্দুকবাজ জওয়ানের উদ্দেশে বলা হয়, আত্মসমর্পণ করতে। যখন এই ঘটনা ঘটছে তখনও পুলিশ জানে না কোথায় রয়েছে সে। তার হাতে বন্দুক রয়েছে কিনা।

বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে সজ্জিত হয়েই অপারেশনে নামেন লালবাজারের অফিসাররা। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর একটি জায়গা থেকে আওয়াজ দেয় ওই জওয়ান। সে বলে, পুলিশকে অস্ত্র ছেড়ে দিতে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অস্ত্র রেখে দেয় পুলিশ। কিন্তু কৌশলে পিছন দিক দিয়ে সশস্ত্র কমান্ডো বাহিনী ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। কারণ যদি সে ফের গুলি চালায় তাহলে সঙ্গেসঙ্গে যাতে পাল্টা গুলিবর্ষণ করা যায়।

এই চাপানউতরের পর রাত আটটা পাঁচ মিনিট নাগাদ ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে পুলিশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কলকাতা পুলিশের ঐতিহাসিক অপারেশনের মধ্যে একটি হয়ে থাকবে শনিবার সন্ধের ঘটনা। কারণ মৃত্যু এড়িয়ে আততায়ীকে ধরা মামুলি ব্যাপার না।

অকুস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে কম করে ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল ওই জওয়ান। তবে স্থানীয় দোকানদাররা বলছেন, ২৫-৩০ রাউন্ড গুলি চলেছে। তবে কী কারণে ওই জওয়ান গুলি চালাল তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন নগরপাল।

‘বন্দুকবাজ’ সিআইএসএফ জওয়ান কোথায়? হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ, ত্রস্ত পার্কস্ট্রিট


ভিডিও স্টোরি