শেষ আপডেট: 31 July 2023 13:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: ইঁদুর বা গিনিপিগ নয়, এবার অ্যাকোরিয়ামের মাছের (Aquarium Fish) ওপর গবেষণা (Research) করে সাফল্য পেলেন বাংলার গবেষক (Bengali Researcher)।
শ্রীরামপুর হাউসিং এস্টেটের বাসিন্দা ডঃ মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার ছোটো থেকেই পশুপ্রেমী মানুষ। তার বাড়িতে রয়েছে একাধিক ধরণের বিদেশী পাখি ও পায়রা। ঘরের অ্যাকোয়ারিয়ামে রয়েছে বিভিন্ন জাতের রঙিন মাছ।
আপাতত চাকদহ নেতাজি সুভাষ বোস ইন্সটিটিউট অফ ফার্মাসিতে বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
মৃত্যুঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, ইঁদুর বা গিনিপিগের ওপর বেশিরভাগ গবেষণা করাতে হয়। সেক্ষেত্র অনেক সময় গবেষণাগুলি এই সমস্ত প্রাণীর জন্য যন্ত্রণাদায়ক হয়। তাতে মৃত্যু হয় প্রাণীগুলির। মডেল খুঁজতেও সময় লাগে। তাই সেই ভাবনা থেকে মাছের উপর গবেষণার কথা ভাবা হয়েছিল।
তিনি পুরো গবেষণাই অ্যাকোরিয়ামের মলি মাছের ওপর করা হয়েছে। মাছের ওপর গবেষণা অনেকটাই সহজ। মাছের জন্য গবেষণা ততটা যন্ত্রনার নয়। এতে মৃত্যুর ঝুঁকিয়ে কমে। ফলে গবেষণা দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। তাই মাছের ওপর গবেষণা চালাতে পেরে ওষুধ বাজারজাত করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছেন তাঁরা এমনটাই দাবি করেছেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু।
এই গবেষণায় তাঁরা, অ্যাকোয়ারিয়ামে মেল-ফিমেল মলি মাছকে মেটিং করান। তারপর তাদের পৃথক করে রেখে ১৯ দিনের মাথায় ফিমেল মলি মাছকে খাবারের সঙ্গে ওই ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যুঞ্জয় মজুমদার বলেন, বিশ্বে এধরণের গবেষণা পদ্ধতি এই প্রথম। তাই তাঁরা পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন।
মৃত্যুঞ্জয়বাবুর জানিয়েছেন, এই ওষুধ গবেষণা স্তরে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। দ্রুত কাজ এগোলে ওষুধ বাজারে আসার সম্ভবণা আরও বেড়ে যাবে। তাতে এই ধরণের ওষুধের দাম অনেকটাই কমবে।
তাঁকে গবেষণায় সাহায্য করেন এনএসবিআইএফ এর প্রিন্সিপল ডঃ অর্ণব সামন্ত যিনি গবেষণার স্ট্যাটিস্টিক ডিজাইন করেছেন। এছাড়া প্রদীপ রায়,সৌরভ রায়,নীলেন্দু শেখর রায় ও ঐন্দ্রিলা বৈশ্য।
আরও পড়ুন: হোস্টেল, পিজিতে থাকলে এবার ১২% জিএসটি দিতে হবে! পড়ুয়াদের খরচ বাড়ছে আরও