শেষ আপডেট: 6th April 2022 07:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেউ পছন্দ করুন বা না করুন, বাংলার রাজনীতিতে গত প্রায় এক দশকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বহু ডায়লগ সুপারহিট। কাদের খান থেকে এন কে সলিল—সবাই তাঁর কাছে ফিকে পড়ে গিয়েছেন। কখনও গুড় বাতাসা, কখনও চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজানোর হুঁশিয়ারি, কখনও রাস্তায় উন্নয়নকে দাঁড় করিয়ে রেখে খেলা হবের স্লোগান!
বুধবার সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রতর গাড়ি সিবিআইয়ের দফতরকে বাঁ হাতে রেখে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ফ্লাইওভার ধরে যখন এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকল, তারপরই যেন ইমেজে বেমক্কা ধাক্কা লাগল! কারণ, ওমনি বিরোধীরা টিকা টিপন্নি শুরু করে দিলেন।
যেমন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, “এই যাহ! অনুব্রতর চড়াম চড়াম দেখছি ফুস হয়ে গেল!” সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করে অধীর বলেন, "আপনি আর ঢাকের শব্দ পাচ্ছেন? আমি তো পাচ্ছি না। যাক উনি এখন হাসপাতালে শুয়ে গুড় বাতাসার জল খেয়ে পেট ঠান্ডা করতে পারেন”।
অনুব্রতকে গরু পাচার মামলার তদন্ত সূত্রে পাঁচ বার নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওই নোটিস পাওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু আদালত তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি। বুধবার তাঁর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। দেখা গেল, সেখানে না গিয়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্য এসএসকেএম হাসরপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনুব্রত।
এ ব্যাপারে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, ওঁর সত্যিই যদি শরীর খারাপ হয়ে থাকে তবে সুস্থতা কামনা করি। তবে এটা যদি ভেক হয়, তা হলে বুঝতে হবে অনুব্রতকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হল।
অনুব্রত মণ্ডল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপিও। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই অনুব্রত মণ্ডল মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানুষকে মিথ্যা কেস দেওয়ার হুমকি দিতেন। পুলিশকে উদ্দেশ করে বলতেন, ওকে গাঁজা কেস দিয়ে জেলে পুরে দাও। সেই অত্যাচারীর কী পরিণতি হচ্ছে তা সবাই এখন দেখতে পাচ্ছে।