শেষ আপডেট: 25th January 2025 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইন নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়, সেই আবহে এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যুর খবর সামনে এল। পরিবারের অভিযোগ, স্যালাইন ও ইঞ্জেকশনের মান নিয়ে।
২৯ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসবের পরই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ২ জানুয়ারি তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই শুক্রবার প্রসূতির মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ এর নেপথ্যে রয়েছে স্যালাইন ও ইঞ্জেকশনের গুণগত মান আর চিকিৎসায় গাফিলতি।
স্ত্রী সান্ত্বনা রায় মাতব্বরের মৃত্যুর পর তাঁর স্বামী ময়নাতদন্ত চেয়ে হাসপাতালের সুপারকে চিঠি দেয়। পরিবারের অভিযোগ, তারপরই হাসপাতালের তরফে বলা হয় যা অভিযোগ জানানোর তা পুলিশের কাছে জানাতে। এরপর পুলিশের কাছে গেলেও সেখানে নানা টালবাহানার শিকার হন তাঁরা। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে প্রথমে অভিযোগ জানালে বলা হয় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় গিয়ে যেন অভিযোগ জানান।
সেখানেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মৃত প্রসূতির পরিবারের লোকজন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেখানেও তাঁরা স্যালাইন ও ইঞ্জেকশনের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন।
গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ উঠেছিল, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তভার হাতে নিয়ে একাধিক বার মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়েছে সিআইডি দল।
ঘটনার দিন ডিউটি থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের ইতিমধ্যেই বার কয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিআইডি আধিকারিকেরা। শুধু জুনিয়র ডাক্তার নন, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের সুপার, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধানদেরও সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। যে স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। শুধু তা-ই নয়, বেশ কিছু ওষুধের নমুনাও নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এ বার আবারও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল।