শেষ আপডেট: 19th May 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় উমফান। ঝড়ের দাপট শুরু হয়ে গেছে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। দিঘা, সাগরদ্বীপে ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্র। ওদিকে ওড়িশার বালাসোর, চন্দাবলি, কেন্দ্রপারা, ভুবণেশ্বর-সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে ঝড়ের দাপট। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের আগেই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। ঘূর্ণিঝড়ের দাপট শুরুর আগেই ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনডিআরএফের ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান। তিনি বলেন, “ওড়িশা সরকারের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের ছ’টি জেলা থেকে দেড় লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বালাসোর ও ভদ্রকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই দুই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ-এর সদস্যেরা।” https://twitter.com/PIB_India/status/1263057334542176258 পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় এনডিআরএফের ৪১টি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এনডিআরএফের ডিজি জানিয়েছেন, ওড়িশায় ২০টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৬টি দল সারা রাত কাজ করবে। আপৎকালীন অবস্থার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ১২টি দলকে। “পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট খুব বেশি দেখা যাবে। ওই জেলাগুলিতে ১৯টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।” প্রতি দলের সদস্যদের কাছে রয়েছে ওয়্যারলেস ও স্যাটেলাইট যোগাযোগের ব্যবস্থা। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এনডিআরএফ সদস্যদের পিপিই ও অন্যান্য সুরক্ষার সরঞ্জামও দেওয়া হয়েছে। সাইক্লোন ফণীর সময়তেও সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এনডিআরএফ। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এবার আরও বেশি জোরদার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজি এসএন প্রসাদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিঘা ও সাগরদ্বীপের উপকূল এলাকায় ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে। সেইসঙ্গে ঝড়ের গতিবেগও বাড়ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ১৭০ কিলোমিটারের কাছাকাছি রয়েছে। উমফানের প্রভাবে ঝড় শুরু হয়েছে কলকাতাতেও। এই মুহূর্তে আলিপুরে ঝড়ের গতিবেগ ৬৭ কিলোমিটার। এনডিআরএফ-এর ডিজি জানিয়েছেন, ২৪টি দলকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের কাজে লাগানো হবে। বঙ্গোপসাগরে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ইস্টার্ন ন্যাভাল কম্যান্ড। জরুরি অবস্থার জন্য বিশাখাপত্তনমে প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনীর জাহাজও।