দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইনি ওঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তুলছেন, উনি এঁর বিরুদ্ধে তাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী, প্রায় সব বিরোধী নেতাই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সেনাবাহিনীকে সামনে রেখে ভোটের রাজনীতি করছে। এ দিন মমতা আর রাহুলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুললেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। শনিবার মধ্যপ্রদেশে বাইক র্যালি কর্মসূচি উদ্বোধনে গিয়েছিলেন শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মিডিয়া মেনে নিয়েছে, গোটা দেশ জানে, এ দিকে মমতা আর রাহুল এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চাইছেন। দেশের সেনাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বলুন আপনারা এঁদের কী বলবেন!”
এখানেই থামেননি বিজেপি সভাপতি। তিনি আরও বলেন, “সাড়ে পাঁচ দশক ধরে একটা পরিবার দেশ চালিয়েছে। এর মধ্যে সংসদে জঙ্গি হানা হয়েছে, মুম্বইয়ে হামলা হয়েছে কিন্তু সনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিংরা মুতোড় জবাব দিতে পারেননি। এটাই কংগ্রেসের সঙ্গে মোদীজির পার্থক্য। যখনই পাকিস্তান হামলা করেছে তখনই ওদের ডেরায় গিয়ে গুলির জবাব গুলিতেই দেওয়া হয়েছে।” অমিত শাহের কথায়, “পাঠানকোট, উরি বা পুলওয়ামা, জবাব দিতে সময় নেননি নরেন্দ্র মোদী।”

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সন্ধে বেলাই বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেনাবাহিনীকে সামনে রেখে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে মমতা বলেছিলেন, “কেউ বলছে তিনশো, কেউ বলছে সাড়ে তিনশো, আমরা জানতে চাইতেই পারি কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছে?” মমতা আরও বলেছিলেন, “আমি নিউইয়র্ক টাইমসের একটা খবর পড়েছি, ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্সের খবরও পড়েছি। এরা কেউ বলছে, বিমান হানায় কেউ মারা যায়নি। কেউ বলছে একজন মারা গেছেন। তা হলে তিনশ, সাড়ে তিনশ সংখ্যাটা কীসের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে?”
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন, “আমাদের দেশের কেউ কেউ এমন কথা বলছেন যাতে পাকিস্তান উৎসাহিত হচ্ছে।” এ দিন অমিত শাহ বলেন, “পাকিস্তানকে মুখের উপর জবাব দিতেই নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করা উচিত।"
যদিও বাংলার শাসক দলের এক মুখপাত্র বলেন, “বিজেপি ভোটের আগে আর কিছু না পেরে যুদ্ধ জিগির তুলছে। এটা দেশের মানুষ বুঝে ফেলেছেন। তাই এখন এ সব বলছে। আর তো কটা দিন। বলে নিক। তারপর নতুন সরকার।”