শেষ আপডেট: 23rd October 2024 17:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার: জয়গাঁওয়ে সাত বছরের মেয়ের পোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নেপাল সীমান্ত থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। আরও দুজনকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করছে পুলিশ।
নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পরে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তির নাবালিকার বাবার বন্ধু। সে প্রায়ই নাবালিকাদের বাড়িতে যাতায়াত করত। তাই পাড়াপড়শিরা তাকে সন্দেহ করেননি। আটদিন আগে নাবালিকাদের বাড়িতে গেছিল ওই ব্যক্তি। মেয়েটিকে সে চাওমিন খাওয়ার বাহানায় বাইরে নিয়ে গেছিল। তারপর থেকে নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন, সাত বছরের ওই নাবালিকার বাবা পক্ষঘাতে আক্রান্ত। হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই। মাও অসুস্থ। সেই সুযোগেই ওই নাবালিকাকে যৌন লালসার শিকার করেছে ওই ব্যক্তি। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে ছোট্ট মেয়েটিকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে বলেই প্রতিবেশিরা অভিযোগ করেছেন।
আলিপুরদুয়ারে ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত জয়গাঁও সীমান্ত। সেখানে একটি পরিত্যক্ত জমির ঝোপ থেকে নাবালিকার দেহ মেলে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জয়গাঁও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত দেবনাথ জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তাঁরা অভিযোগ পান, বছর সাতেকের একটি মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তদন্ত শুরু হয়। সমস্ত জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এরপরে তারা জানতে পারেন স্থানীয়রা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন, সেই ব্যক্তি বাইরে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের টিম তদন্তে নামে। সেখান থেকে জানায় নেপালের দিকে পালাতে দেখা গিয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। পরে নেপাল সীমান্ত পেরনোর আগেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। নাবালিকার সঙ্গে ওই কী কী ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশকে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়। ওই ব্যক্তির স্ত্রী বছরখানেক আগে মারা যান। ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায় বাবা কোথায় থাকে সে জানে না। মাঝে মাঝে কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে আসে। এরপর ঘনিষ্ঠ সূত্রে পুলিশ খবর পায়, অভিযুক্ত ইটভাটায় কাজ করে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা অভিযুক্ত কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। ফলে তার গতিবিধি বুঝতে সোর্সের সাহায্য নিতে হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত নেপালের একটি ইটভাটায় রয়েছে। তারপরই নেপাল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় আরও ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।