শেষ আপডেট: 22nd October 2024 18:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার: ভারত-ভূটান সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হল ৭ বছরের মেয়ের পোড়া দেহ। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ এলাকায়। পরিত্যক্ত একটি জমির ঝোপের মধ্যে নাবালিকার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যে নাবালিকার পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা গত আটদিন ধরে নিখোঁজ ছিল।
পাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত আট দিন ধরে নাবালিকার বাড়ি লোকজন মেয়েকে খুঁজছিল। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার আগে এলাকার এক যুবক তাকে চাউমিন খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। এরপরেই আর সে আর বাড়ি ফেরেনি। ওই যুবককেও এলাকায় দেখা যায়নি। বাড়ি লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে চারিদিনে মেয়ের খোঁজ খবর নিতে থাকেন। পুলিশেও নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ের খোঁজ পাননি তাঁরা। মঙ্গলবার আচমকাই ওই নাবালিকার পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। ওই নাবালিকার সঙ্গে কী ঘটনা ঘটেছে, এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। অভিযুক্ত ধরা পড়লে বিস্তারিত বলা যাবে।
নাবালিকার এক আত্মীয়ের দাবি, অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার বাবার বন্ধু। তাই কেউ সন্দেহ করেনি। সেদিন ওই নাবালিকার বাড়িতে এসেছিল। নাবালিকা তার কাছে মোমো আর চাউমিন খাবে বলে আবদার করে ৷ তখন তাকে চাউমিন খাওয়াতে নিয়ে যায় ওই যুবক।
এক স্থানীয় জানিয়েছেন, "মেয়েটিকে আটদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিল না। চারিদিকে হন্যে হয়ে ঘুরছিল নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। বাড়ি থেকে বেরোনোর সামর্থ নেই। মায়েরও শরীর ভালো নয়। সেই সুযোগে সাত বছরের ওই নাবালিকার উপর যৌন লালসা মিটিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে ওই যুবক। আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই।"