শেষ আপডেট: 16th April 2022 08:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় ও আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে দুটি রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রোড শো শেষে দু’জায়গাতেই বক্তৃতা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, এই নির্বাচন আসলে দেশ থেকে বিজেপিকে তাড়ানোর বৃহত্তর লড়াইয়ের অংশ। শনিবার দুই উপনির্বাচনে জয়ের পর সেটাই ফের একবার বললেন অভিষেক।
তাঁর কথায়, এই দুই কেন্দ্রের জয় আসলে দেশে ঘৃণা ও দমনের যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্তির একটা ধাপ। অর্থাৎ অভিষেক বোঝাতে চেয়েছেন, এই দুটি উপনির্বাচন আসলে চব্বিশের বড় লড়াইয়ের নেট প্র্যাকটিস ছিল। নাম না করলেও অভিষেকের তির যে বিজেপির দিকে তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এদিন টুইট করে অভিষেক আরও লিখেছেন, আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালবাসা নিয়ে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পালন করব।
বালিগঞ্জে বাবুলকে প্রার্থী করার ব্যাপারে অভিষেকেরই বড় ভূমিকা ছিল বলে মত তৃণমূলের অনেকের। গোটা নির্বাচনে বিজেপি থেকে আসা বাবুলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সমালোচনাও ছিল প্রবল। সংখ্যালঘুদের আধিক্য থাকা এই কেন্দ্রে যা নিয়ে বাবুলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল বলে মত অনেকের। বাবুলের সমর্থনে প্রচারে অভিষেক তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হিসেবেই তুলে ধরেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, বালিগঞ্জ ছিল অভিষেকের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। সেখানে ব্যবধান কমলেও স্বচ্ছন্দেই জিতেছেন বাবুল।
আবার তিনি যখন সাধারণ সম্পাদক তখনই প্রথম বার আসানসোল জয়ের স্বাদ পেল তৃণমূল। এর আগে কোনওদিন এই লোকসভা আসনে ঘাসফুল ফোটেনি। অনেকের মতে, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করার ব্যাপারেও বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেকের। সেদিক থেকে এই দুই জয় তৃণমূলের সাম্প্রতিক ঘরোয়া রাজনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত অনেকের।