শেষ আপডেট: 18th January 2025 12:37
নিবেদিতা দাস, শিলিগুড়ি
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আব্দুল হোসেনই কোর্ট চত্বরে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল সাজ্জাকের হাতে। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ সীমান্তে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত পলাতক বন্দি সাজ্জাদ আলমের। তারপরেই তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত বুধবার আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় শৌচালয় যাওয়ার নাম করে গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার কাছে পুলিশকে গুলি চালিয়ে পালিয়েছিল বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাদ আলম।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের এক নাগরিক আবদুল হোসেন অনুপ্রবেশের একটি মামলায় কিছুদিন আগে ইসলামপুর জেলে বন্দি হয়ে আসে। সেখানেই খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মাস পাঁচেক আগে জেল থেকে ছাড়া পায় আব্দুল। বুধবার কোর্ট লকআপে সাজ্জাকের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এই বাংলাদেশি আবদুলই।
তদন্তে নেমে এটা জানার পরেই সাজ্জাককে ধরতে ঘুঁটি সাজায় পুলিশ। গোয়ালপোখর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে আসামি পালিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়। অবশেষে শুক্রবার ভারত থেকে বাংলাদেশ পালানোর সময় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাক আলমের।
সূত্রের দাবি, পুলিশকে দেখে সীমান্ত টপকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত বন্দি। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলিও চালায়। পুলিশের তরফেও পাল্টা গুলি চালানো হয়। পরে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাজ্জাদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, তিনটি গুলি লাগে সাজ্জাদের দেহে।