শেষ আপডেট: 19th October 2022 08:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কেরলে কাজে যাওয়ার নাম করে প্রেমিকাকে (lover) নিয়ে দূরে সংসার পেতেছিলেন ক্যানিংয়ের (Canning) এক যুবক। প্রায় দু'মাস পর উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাঁদের দাবি, খুন (murder) করা হয়েছে ওই যুবককে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত যুবকের নাম নজরুল মণ্ডল (৩৮)।
জানা গিয়েছে, প্রায় দু'মাস আগে কেরলে কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নজরুল।এরপরই প্রতিবেশী রেজিনা সরদারকে সঙ্গে নিয়ে বারুইপুরের সুভাষগ্রামের কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। কয়েকদিন পর সেই পাড়ারই আরও এক যুবক সফিকুল সরদার রেজিনার বোনঝি সায়দা সরদারকে নিয়ে একই বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করে।
সূত্রের খবর, নজরুল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকা সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ভাড়াবাড়িতে থাকার সময় চারজনের সমস্ত খরচ বহন করতেন নজরুল। এদিকে, একমাস ওখানে থাকার পরই বাড়ি ফিরতে চান নজরুল। এরপরই চাপে পড়ে যায় রেজিনারা। অভিযোগ, নজরুল যাতে বাড়ি ফিরতে না পারে, তারজন্য তাঁকে মারধর শুরু করে ওরা তিনজন। শেষে নজরুলকে ওষুধ খাইয়ে খুন করার পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগ।
পরিকল্পনা মাফিক ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। এরপরই সেই যুবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপর নজরুলকে হাসপাতালে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় বারুইপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবক, পশ্চিম বর্ধমানের নিয়ামতপুরে পথ অবরোধ এলাকাবাসীর
বেশ কয়েকদিন পর ওই যুবকের নাম ও বাড়ির ঠিকানা জানতে পারে বারুইপুর থানার পুলিশ। গত ১১ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা সম্পর্কে বারুইপুর থানার পুলিশ ক্যানিং থানায় একটি ই-মেল পাঠায়। ইতিমধ্যে মৃতের পরিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে নিয়ে আসে। এরপর রবিবার সেই মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, একমাস আগেও ক্যানিং থানার পুলিশ খবর পেয়ে আমাদেরকে জানায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দিক।