শেষ আপডেট: 16th July 2020 08:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, উমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দু’একটা জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, তাড়াতাড়ি টাকা পাঠাতে গিয়েই ওই গণ্ডগোল হয়েছিল। তা শুধরেও নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ এটা নিয়ে ‘ডার্টি পলিটিক্স’ করছেন। বৃহস্পতিবার ওই বক্তব্য নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা চাঁপদানির বিধায়ক আবদুল মান্নান। এদিন শেওড়াফুলির নোনাডাঙা কংগ্রেস অফিস থেকে একটি ভিডিও বার্তায় মান্নান সাহেব বলেন, “৯৯ শতাংশ তো ছেড়ে দিন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, উনি ওঁর পছন্দ মতো প্রতিনিধি পাঠান আমার সঙ্গে। যে কোনও একটি গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দেব, ৫০ শতাংশ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত এখনও টাকা পাননি।” উমফানে শাসকদলের দুর্নীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়া নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই বিধানসভায় ধর্নায় বসার কথা ছিল আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। কিন্তু গতকালই বিধানসভার এক কর্মীর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। গতকাল রাতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ১০ দিন বিধানসভা বন্ধ থাকবে। তাই এদিনের কর্মসূচি বাতিল করে বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল। তবে মান্নানবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেন না ভাবেন যে, চিরকালের মতো আন্দোলন বন্ধ করে দিয়েছি। এই আন্দোলন চলবে। আমরা রাজনীতির জন্য আন্দোলন করছি না। মানুষের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি।” শুধু উমফান নয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন চাঁপদানির বিধায়ক। এদিন প্রবীন কংগ্রেস নেতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে যে কোনও লোককে পাঠান। যে কোনও সরকারি হাসপাতালে দু’ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে তাঁকে দেখিয়ে দেব কী অব্যবস্থা চলছে।” মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছিলেন, “কে একজন কোথায় বেড পেল না, ওষুধ পেল না, কিছু লোক সেটাকে নিয়ে একেবারে আসন পেতে বসে পড়ছে। আর এত লোক যে ভাল হচ্ছে সেটা বলছে না।” একাংশের সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মিডিয়ার কেউ কেউ আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরি করছে! এটা কিন্তু ঠিক না। আপনাদেরও একটা সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে।” এদিন মান্নানবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসত্য কথা বলছেন। সবাই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে কী হচ্ছে। আমরা জানি উনি ভগবান নন। ওঁর পক্ষে সবটা করা সম্ভবও নয়। কিন্তু যা হচ্ছে সেটা বলুন। মিত্যা বিবৃতি দেবেন না।” মান্নানবাবুর এহেন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেন, “সারা দেশে একমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই করোনা-যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মাঠে-ময়দানে নেমে সেই কাজ করছেন, তখন মান্নানবাবু, সুজনবাবুরা সংকীর্ণ রাজনীতি করতে চাইছেন।”