শেষ আপডেট: 27th July 2019 12:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: ঘর থেকে মিলল স্বামী স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। সোদপুরের ইন্দ্রলোকে থাকতেন দুজন। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম বিপ্লব চক্রবর্তী (৫০) ও শিপ্রা চক্রবর্তী (৪০)। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে মেরে বিপ্লববাবু আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে মা বাবাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় ওই দম্পতির ছোট মেয়ে। তার ডাকাডাকিতেই ছুটে আসেন পড়শিরা। এরপর ঘরে ঢুকে দুজনের দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তাঁরা জানান, ঘরের জানলার সঙ্গে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় শিপ্রার দেহ। বিপ্লবের দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছরখানেক আগে সোদপুরের ইন্দ্রলোকে ভাড়া আসেন তাঁরা। স্বামী স্ত্রী ও দুই মেয়ে। বড় মেয়ে এখানে থাকে না। ভালো পরিবার বলেই এলাকায় পরিচিতি ছিল তাঁদের। কোনওদিন ঝগড়াঝাটিও শোনেননি কেউ। তাই তাঁদের এমন পরিনতিতে হতবাক পড়শিরা। কী কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল হাতরাচ্ছে তাঁদের সন্তানও। সে জানায়, শুক্রবার রাতেও তারা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছে। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখেনি বাবা মায়ের মধ্যে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, বেহিসেবি খরচ, সুদে টাকা খাটানো আর লাগামহীন জীবন যাপন নিয়ে স্ত্রী শিপ্রার সঙ্গে দিনের পর দিন ঝামেলা হত বিপ্লবের। পুলিশ কর্তারা জানান, শিপ্রার ভাই এবং বিপ্লবের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেই এই তথ্য জানতে পেরেছেন তাঁরা। পুলিশ কর্তারা এও জানিয়েছেন মধুচক্র চালানোর অভিযোগে একবার গ্রেফতারও করা হয়েছিল শিপ্রাকে। তিন মাস জেলেও ছিলেন। স্ত্রীকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরেই বিপ্লব অন্তিম সিদ্ধান্ত নেন বলেই পুলিশের ধারণা। তবে গোটা বিষয়টিই এখন তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।