শেষ আপডেট: 26th August 2019 11:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি : যে দিন পূর্ব বর্ধমানে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “মিড ডে মিলে আমরা ছাত্রছাত্রী পিছু ৪ টাকা ৩১ পয়সা পাই। তাই দিয়ে ডিম খাওয়াব কোথা থেকে? একটা ডিমের দাম কত? ৬ টাকা? কত যেন?” সে সে দিনই মিডডে মিল- খ্যাত চুঁচুড়ার বাণীমন্দির স্কুলে যোগ দিয়ে মিডডে মিলের যে তালিকা টাঙালেন নবাগতা প্রধান শিক্ষিকা তাতে কিন্তু দু দিন ডিম, একদিন মাংসও। গত আড়াই বছর ধরে প্রধান শিক্ষিকার পদ শূন্য ছিল এই স্কুলে। পরিচালন কমিটির সভাপতির সঙ্গে শিক্ষিকাদের বিরোধে টিচার ইনচার্জের পদও ছিল ফাঁকা। এই পরিস্থিতিতে সাইনিং অথরিটি না থাকায় মিডডে মিল শিকেয় উঠেছিল এই স্কুলে। পড়ুয়াদের নুন আর ভাত খাইয়ে গত সপ্তাহে খবরের শিরোনামে আসে বাণীমন্দির। এলাকার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় খবর পেয়ে স্কুলে যেতে শুরু হয় হইচই। শোরগোল পড়ে যায় জেলা প্রশাসনে। ঘটনার দিনই মিডডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় দুই শিক্ষিকাকে। পরের দিন স্কুলে আসেন পরিচালন কমিটির সভাপতি। আসেন মহকুমা শাসক। স্কুলের শিক্ষিকাদের নিয়ে বৈঠক করে তিনি জানিয়ে দেন, খুব দ্রুত প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। প্রধান শিক্ষিকা না আসা পর্যন্ত মিডডে মিলের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুরসভাকে। অবশেষে আড়াই বছর পরে আজ ধনিয়াখালির গেঁটেগোরি মানিক চৌধুরী হাইস্কুলের শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বাণীমন্দির স্কুলের প্রধানশিক্ষিকার দায়িত্ব নিলেন। স্কুলে যোগ দিয়েই তিনি দায়িত্ব নেন মিডডে মিলেরও । এরপরেই বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হল প্রতিদিনের মিডডে মিলের মেনু। সেখানে দু দিন ডিম ও একদিন মাংস খাওয়ানো হবে বলে জানানো হয়। যেমনটি দু দিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিলেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। মিড ডে মিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া ভাবনার পর সেই তালিকা অনুযায়ী আর চলা যাবে কি না তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।