শেষ আপডেট: 10th November 2024 19:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মোবাইল নয়, ছোটবেলা থেকেই হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বই। আর তারই ফল মিলল হাতেনাতে। বয়স দু'বছর হলে কী হবে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সার্টিফিকেট পকেটে পুরেছে সে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
বিস্ময় কন্যার কীর্তিতে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পিলখানা কলোনির বাসিন্দা শিবাংশী পাখিরা। বয়স যখন মেরে কেটে ছ'মাস, তখনই মোবাইলের বদলে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বই। এরপর থেকেই বই হয়ে ওঠে তার জীবনের সবচেয়ে বড় সঙ্গী।
শিবাংশী এক নিঃশ্বাসে বলতে পারে ২৩টি পশু, ১০টিরও বেশি পাখি, ২১টি ফল ও ২৪টি সবজির নাম। তালিকা এখানেই শেষ নয়, গড়গড় করে বলতে পারে ১০ ধরনের গাড়ি, ১২টি রং, ১২টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও ঘরের কাজে ব্যবহার হয় এমন ৩১টি জিনিসের নাম। এছাড়া একবার শুনেই বলতে পারে সেটা কোন পশুর ডাক। এই অসাধারণ দক্ষতাই ছোট্ট শিবাংশীকে এনে দিয়েছে বিশেষ সম্মান। ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস সংস্থা থেকে ইতিমধ্যেই মেডেল জিতেছে সে। হাতে পেয়েছে সার্টিফিকেটও।
শিবাংশীর বাবা, সোমনাথ পাখিরা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আর দশজন বাবার মতো তিনিও ছোট থেকেই মেয়ের হাতে খেলনা তুলে দিলেও বই দিতে ভোলেননি। তাঁর কথায়, 'ওকে যেমন খেলনা দিয়েছি তেমনই ফল, ফুল, পশুপাখিদের ছবি আঁকা বইও দিয়েছি। তবে মেয়ে বইকেই আপন করেছে বেশি।'
তিনি আরও বলেন, 'মাত্র এক বছর বয়স হতে না হতেই খেলনার বদলে বই নিয়ে খেলতে শুরু করে সে। বয়স যখন মাত্র ১৫ মাস তখন ওর মা লক্ষ করে বাচ্চা এ টু জেড গড়গড়িয়ে বলতে পারে। মাসখানেক পর বর্ণমালাও সহজেই বলে দিচ্ছে। এছাড়াও মেয়ে পশু, পাখিদের ডাক একবার শুনেই বলতে পারত।'
মা পুনম বলেন, 'মেয়ের এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তা মোবাইলবন্দি করতে থাকেন বাড়ির সকলে। আত্মীয়দের মধ্যে তা শেয়ার শুরু হয়। এরপর সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস সংস্থার নাম।'
তাঁর কথায়, 'নেট সার্চ করে যোগাযোগ করি। রেজিস্ট্রেশন করাই। এরপর গত অক্টোবর মাসেই মেয়ের কীর্তির ভিডিও পাঠাতে বলা হয়। ভিডিও পাঠালে কয়েকদিন পর সংস্থার তরফে 'বিস্ময় কীর্তি'র জন্য সার্টিফিকেট দেয় মেয়েকে, মেডেল দিয়ে পুরষ্কৃত করে।'
বাবা, মা ও দিদা তিনজনকে নিয়েই বড় হয়ে ওঠা শিবাংশীর। আগামীদিনে সে আরও বড় কিছু করবে বলেই ধারণা পরিবার থেকে প্রতিবেশীদের।