শেষ আপডেট: 7th October 2022 15:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: জেলার ধলা বাড়ি এলাকার একটি কবরস্থানে (burial ground) গুটিসুটি মেরে বসেছিল দু’টি চিতাবাঘের ছানা (leopard cubs)। তা দেখামাত্রই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। জানতে পেরে সেখানে চলে আসেন পদ্মশ্রী করিমুল হক ওরফে বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা। এরপর তিনিই বন দফতরকে খবর দেন।
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ক্রান্তি ব্লকের ধলা বাড়ি গ্রামে রয়েছে একটি কবরস্থান। শুক্রবার দুপুরে সেখানেই ঘাস কাটতে ঢুকেছিলেন এলাকারই এক বাসিন্দা। আচমকাই তিনি লক্ষ্য করেন কবরস্থানে থাকা একটি ঝোপের পাশে দুটি ছানাকে নিয়ে খেলছে একটি চিতাবাঘ। তাকে দেখেই ভয় পেয়ে চিতাবাঘটি লাফিয়ে চা বাগানের দিকে চলে যায়।
এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই ঘাবড়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে এসে সকলকে বিষয়টি জানান। তখন সেই চিতাবাঘের বাচ্চা দেখতে একেবারে ভিড় জমে যায় সেখানে। এরপর তিনি খবর দেন বাইক অ্যাম্বুলেন্স দাদা পদ্মশ্রী করিমুল হককে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। কবরস্থানের সেই ঝোপের কাছে গিয়ে ভাল মতো পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হন যে এই দুটিই চিতাবাঘের ছানা। এরপর সবাইকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে তিনি বন দফতরে খবর দেন।
পরে করিমুল হক জানান, ‘এই কবরস্থানে ঘাস কাটতে এসে চিতাবাঘ দেখে আমাকে খবর দেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। আমি এসে দেখি দুটি ছানা রয়েছে। মনে হয় এদের এখনও চোখ ফোটেনি। আমি বন দফতরের আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি। এই এলাকায় প্রচুর চা বাগান রয়েছে। সেখান থেকে মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘ বেরিয়ে আসে। এদিনও তেমন ঘটনাই ঘটেছে।’
এই ঘটনায় বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের কাঠামবাড়ির রেঞ্জ অফিসার মহম্মদ রসিদ বলেন, ‘খবরটি আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু ওখান থেকে ছানাদের আনা যাবে না। ওর মা-ই পরে এসে ছানাদের নিয়ে যাবে। সেই জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
পাণ্ডুয়ায় ধর্ষণের শিকার ৯ বছরের নাবালিকা! ভাসান দেখতে যাওয়াই কাল, আক্ষেপ পরিবারের