শিশু ভর্তির সংখ্যা বেড়ে হল ১৪০, হাঁসফাঁস অবস্থা জলপাইগুড়ি হাসপাতালে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যাও। বর্তমানে ১৪০ জন শিশু নিয়ে রীতিমত হাঁসফাঁস অবস্থা জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। অব্যাহত রয়েছে সেই গাদাগাদি ভিড়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্ত
শেষ আপডেট: 21 September 2021 16:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যাও। বর্তমানে ১৪০ জন শিশু নিয়ে রীতিমত হাঁসফাঁস অবস্থা জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। অব্যাহত রয়েছে সেই গাদাগাদি ভিড়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০-এ। গতকাল যা ছিল ৯১।
দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের শিশুবিভাগ গুলিতে একই বেডে রয়েছে ৩ জন করে জ্বরে আক্রান্ত শিশু। যার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সকলকেই। এমনটাই জানালেন হাসপাতাল থেকে আজই ছুটি হয়ে যাওয়া এক শিশুর মা।
এবার স্কুল পড়ুয়াদের আধার কার্ডের জন্য পাইলট প্রজেক্ট রাজ্যের, জরুরি ভিত্তিতে পুজোর আগেই শুরু
এদিকে, হাসপাতালের আউটডোর ও ইন্ডোরেও উপছে পড়েছে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৪০টি বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছিল, নির্মীয়মান পিকু ওয়ার্ডে নতুন করে পেডিয়াট্রিক ৩ নামে নতুন ৩০টি শয্যা বিশিষ্ট শিশু বিভাগ চালু করা হবে। বাকি ১০টি বেড ১ ও ২ নং ওয়ার্ড মিলিয়ে বৃদ্ধি করা হবে।
কিন্তু আজও চালু হয়নি ৩০ শয্যা বিশিষ্ট সেই পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড ৩। এই বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা তৃনমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মণ। তিনি সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আচমকাই জ্বরের ঢেউ শুরু হয়েছে। তাই হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েছে। আজ ১৪০ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। বেড বাড়াবার প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
তবে শিশু বিভাগে শয্যা বাড়ানোর এই উদ্যোগ যদি আরও আগে নেওয়া যেত, তাহলে হয়ত এই ছোট বেড গুলিতে গাদাগাদি করে তিনজন করে থাকতে হত না। যদিও এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'