শেষ আপডেট: 29th May 2023 07:26
সিপিএমে নতুন ১৪ হাজার বুথ কমিটি, ৮ হাজার সংখ্যালঘু এলাকাতেই, ১১ সালের পর এই প্রথম
শোভন চক্রবর্তী
দলে সার্কুলার জারি হয়েছিল অনেকদিন আগে। বলা হয়েছিল, স্থায়ী বুথ কমিটি গড়তেই হবে। কিন্তু লোকলস্কর না থাকা, অনীহা, দলের সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তায় সেসব আর হয়নি। এখন যখন পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন, তখন সিপিএম (CPM) সূত্রে খবর, রাজ্যে প্রায় ১৪ হাজার বুথ কমিটি গড়া (14 thousand new booth committees) সম্ভব হয়েছে যা ২০১১ সালের পর এই প্রথম।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে এও জানা গিয়েছে, ১২ বছর পর যেসব জায়গায় এই বুথ কমিটি গড়া হয়েছে তার সবটাই গ্রামীণ এলাকা। শুধু তাই নয়, সিপিএমের দাবি, এই নতুন ১৪ হাজার বুথ কমিটির মধ্যে প্রায় আট হাজার বুথ কমিটি সংখ্যালঘু ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়। দলের রাজ্য সম্পাদক পদে মহম্মদ সেলিমের মতো সংখ্যালঘু মুখ আনার পর তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই রইল।
তবে তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএমের এই বুথ কমিটি আসলে ভূত কমিটি (14 thousand new booth committees)।
কাগজে আছে, মাঠে-ময়দানে নেই। শাসকদলের এও দাবি, এই বুথ কমিটির তালিকা খুললে দেখা যাবে বিজেপির লোকজনও এতে রয়েছে।
সিপিএমের (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিয় পাত্র বলেন, "সারারাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ৬২ হাজার বুথ রয়েছে। তার ৮০ শতাংশ এলাকায় বুথ কমিটি গড়া সম্ভব হয়েছে।" তাঁর কথাতে এও স্পষ্ট, উত্তরবঙ্গে এই বিষয়টি আশানুরূপ নয়।
এমনিতে সিপিএমের শহুরে নেতারা নানান তত্ত্বকথা আওড়ে অস্বীকার করতে চান যে, বামের ভোট রামের দিকে গিয়েছিল। কিন্তু অমিয় পাত্র ঢাকঢাক গুড়গুড় না করে সরাসরিই বলেন, "বামপন্থী ভোট যে বিজেপির দিকে গিয়েছিল সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। তাঁরা মনে করেছিলেন তৃণমূলকে তাড়াতে একমাত্র বিজেপিই পারবে।" সেইসঙ্গে বাঁকুড়ার এই নেতাটির এও দাবি, মানুষ এখন ফের বামেদের দিকে ফিরছেন।
কংগ্রেসেরও দাবি মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূমের কিছু এলাকায় সংগঠন নতুন করে মাথা তুলছে। যেসব জায়গা কংগ্রেসের একদা গড় হিসাবে পরিচিত ছিল সেসব জায়গাকে চিহ্নিত করে অধীর চৌধুরীরা ধারাবাহিক যাতায়াতও শুরু করেছেন। এ হেন প্রেক্ষাপটে তাই রাজনৈতিক মহলের অনেকের কৌতূহল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিজেপিতে যাওয়া ভোটই বাম-কংগ্রেসের দিকে ফিরবে? নাকি তৃণমূলের সংগঠিত ভোট বাক্সেও থাবা বসাবে। যেটাই ঘটুক, বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণের দ্বিমেরু দশা ঘুচবে বলেই মত অনেকের। এখন দেখার, দাবি পাল্টা দাবির পরে মাঠে-ময়দানের ভোট কী ভাবে হয়।
মমতা বলেছিলেন, ‘আর তো ছ’মাস’, ১২ জুনের আগে নতুন পোস্টার বের করে দিল তৃণমূল