উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ
শেষ আপডেট: 10th September 2024 15:23
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে দাদাগিরির অভিযোগ। তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নিল কর্তৃপক্ষ। টিএমসিপি ইউনিটের অভিযুক্ত ১২ জনকে মেডিক্যাল পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হাউজস্টাফ শাহিন সরকারও রয়েছেন। শাহিন টিএমসিপির নেতা। তাছাড়া নম্বর বাড়ানোর অভিযোগে যুক্ত ইন্টার্ন সোহম মণ্ডলের খাতা স্ক্রুটিনি করা হয়েছে। এই ঘটনায় অধ্যক্ষের নামও জড়িয়ে ছিল। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব়্যাগিং কমিটি থেকে সরানো হয়েছে ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে। আর এমও নীলাভ্র ঘোষ, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীলকে ছুটি পাঠিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। তাঁদের বিরুদ্ধে এক পেশে আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
আরজি কর কাণ্ডের পরে রাজ্যের বেশ কয়েকটি হাসপাতালের একাধিক দুর্নীতি সামনে আসে। সেই সময়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের লবির কথাও উঠে এসেছিল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হুমকি-দুর্নীতি সংস্কৃতির অভিযোগ উঠে এসেছিল। এই ভাবেই নাকি পড়ুয়াদের পরীক্ষার নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক সরকারি আধিকারিক, হাউজ স্টাফ-সহ পড়ুয়াদের নাম জড়িয়ে যায়। তখন থেকে সেখানে আন্দোলন চলছিল। অবশেষে ওই সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হল।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, “কলেজ কাউন্সিল অভিযুক্তদের ডিসকলেজিয়েট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযুক্ত ইন্টার্নদের সাসপেনশন ও হাউজস্টাফদের হাউজস্টাফশিপ বাতিল করা হবে। আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে বলব, যাতে ওদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর আদৌ দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে।”
এই ঘটনার পরে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কয়েকজন ধরা পড়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে তাঁরা সন্তুষ্ট নন, তাঁদের দাবি অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হোক। তা না হলে ফের এমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।