নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও নিহত দুলাল সরকার, গ্রাফিক্স - শুভ্র শর্ভিন
শেষ আপডেট: 8th January 2025 12:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: ২০২২ সালের ঘটনা। পার্টির একটি কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইংরেজবাজার শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল তাঁদের। সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল মালদহের জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল সরকারের বিরুদ্ধে। হামলাকারীরা তাঁরই লোক বলে দাবি করেছিলেন মালদহ শহরের দাপুটে নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি।
তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। কিন্তু নরেন্দ্রনাথ জিইয়ে রেখেছিলেন প্রতিহিংসার আগুনটা। দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় নরেন্দ্রনাথের গ্রেফতারির পর সেটাই মনে করছেন জেলার তৃণমূল নেতা কর্মীরা। বরাবরই জেলার দাপুটে নেতা হিসেবে নরেন্দ্রনাথের পরিচিতি। নিজের এলাকায় তাঁর লোকজন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিকে তাই মেনে নিতে পারেননি তিনি। তবে সেই আক্রোশেই খুন কিনা তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।
দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই দলের টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ইংরেজবাজার থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। জেরা করা হয় নরেন্দ্রনাথের দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও। বেশি রাতে গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথকে। তারপর থেকেই তোলপার মালদহ জেলা।
বিরোধীরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন বলে অভিযোগ করলেও মানতে নারাজ ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও। তাঁর কথায়, "এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত ঝামেলা। ২০২২ সালের গন্ডগোলের পর থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। দুলাল সরকারকে হুমকি দিতেও শোনা গেছে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। এর সঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।"