কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
শেষ আপডেট: 25th July 2024 17:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরবঙ্গের আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পরে নিজেই একথা জানান সুকান্ত। এও বলেন, "উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে একথা বলেছেন।"
বুধবারই সুকান্তর এই দাবির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। ভোটে হারের বদলা নিতে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে সুকান্তর দাবিকে নস্যাৎ করে দিলেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের অন্যতম বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।
কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বলেন, "অফিসিয়ালি আমি বিজেপি বিধায়ক হিসেবে বলছি, এটা মেনে নেব না। কারণ, এতে যারা আলাদা রাজ্য চাই, তাদের দাবি পূরণ হবে না।"
নিজের দাবির সপক্ষে বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, ৩৭১ এফ ধারায় সিকিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল উত্তর-পূর্ব পর্ষদের সঙ্গে, বাংলার সেই সম্ভবনা নেই। আধা স্টেট কোনও দিন পর্ষদে যেতে পারবে না। এটা অবাস্তব ধারণা।
বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, "২৪ এর ফল নিয়ে সুকান্ত মজুমদার হতাশ আছেন। তাই নজর ঘোরাতে উত্তরবঙ্গের আলাদা রাজ্যের দাবিদারদের নিয়ে রাজনীতি করছেন।"
বুধবার একই কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এদিন আরও একধাপ এগিয়ে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক বলেন, "সুকান্তবাবু উত্তর-পূর্ব পর্ষদের প্রতিমন্ত্রীও আছেন। তো ওনাকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি, ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থাৎ ২৬ এর ভোটের আগে বাংলা ভাগ না করে উত্তরপূর্ব ভারতের একটা অংশ বানিয়ে দেখান, তারপর ভোটে নামবেন।"
খানিক থেমে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে যোগ করেছেন, "এত বড় বড় কথা বলছি কীভাবে জানেন? কারণ, সিকিম কীভাবে উত্তর-পূর্বের মধ্যে ঢুকেছিল সেটা আমি জানি। ওনারা তখন ছিলেন না।"
বিজেপির রাজ্য সভাপতির উদ্দেশে পরামর্শের সুরে কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক এও বলেন, "ওনাকে বলব, রাজনীতির কথা বলার আগে এবার থেকে যেন ভেবেচিন্তে কথা বলেন!" এ ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে সুকান্তর বক্তব্যের বিরোধিতা করে যেভাবে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক, তা নিয়ে নতুন করে বিড়ম্বনায় পদ্মশিবির।
যদিও পুরো দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "বিজেপি বাংলা ভাগের পক্ষে নয়। তৃণমূল এই নিয়ে রাজনীতি করছে।" অন্যদিকে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা! বিজেপির বাংলা ভাগের চক্রান্ত বাংলার মানুষ হতে দেবে না।"