শেষ আপডেট: 8th January 2025 12:31
সীতাভোগ তো খেয়েছেন। তবে নলেন গুড়ের সীতাভোগের স্বাদ নিয়েছেন কখনও? সেটা নাকি স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়।
শীত পড়েছে। গুড়ের মিষ্টির চাহিদাও বেড়েছে। তাই বিক্রেতারা মিষ্টির সঙ্গে নিত্যনতুন পরীক্ষা করতে ব্যস্ত। কয়েক বছর আগে বর্ধমানের সীতাভোগ জিআই ট্যাগ পেয়েছিল। দেশ জুড়ে বর্ধমানের সীতাভোগের চাহিদাও রয়েছে। তাই শীতের মরশুমে নলেন গুড়ের সীতাভোগ তৈরি করছেন বর্ধমানের মিষ্টি ব্যবসায়ী সৌমেন দাস। চিনির বদলে গুড়ের রস দিয়ে তৈরি হচ্ছে সুস্বাদ সেই সীতাভোগ।
বর্ধমানের বিসি রোডের ধারেই রয়েছে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। সেখানে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে নলেন গুড়ের সীতাভোগ। একই সঙ্গে সাধারণ সীতাভোগও রয়েছে। তার পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে মিহিদানাও।
সীতাভোগের কিন্তু একটা ইতিহাস রয়েছে। ১৯০৪ সালে বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন বর্ধমানের জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাবকে মহারাজা খেতাব দিতে বর্ধমানে এসেছিলেন। সেই সময়ে বিজয়চাঁদ কার্জনের জন্য নতুন কোনও মিষ্টি তৈরি করতে বলেন। সেই সময়ে ভৈরবচন্দ্র নাগের মিষ্টি বেশ জনপ্রিয় ছিল। এই সময়েই মিষ্টির দুনিয়ায় আসে সীতাভোগ ও মিহিদানা।
অনেকে বলেন, লর্ড কার্জন সীতাভোগ খেয়ে এতটাই খুশি হয়েছিলেন, যে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি সীতাভোগ পরিবেশন করা বাধ্যতামূলক করেন। এভাবে ভৈরবচন্দ্রের সেই সীতাভোগে নতুন মাত্রা যোগ করলেন সৌমেন দাস ও তাঁরা কারিগররা।
সম্প্রতি এই ভিন্ন স্বাদের সীতাভোগ খেয়ে ক্রেতারাও বেশ খুশি। তবে তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাদা সীতাভোগের সঙ্গে নলেন গুড়ের সীতাভোগের তুলনা করতে চাইছেন না।