শেষ আপডেট: 17th January 2022 12:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নোভাক জকোভিচকে নিজের জেদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতেই হবে। কারণ ফ্রান্স সরকারও ঘোষণা করেছে, জকোভিচ যদি করোনা ভ্যাকসিন না নিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলতে আসেন, সেক্ষেত্রে তিনি তা খেলতে পারবেন না। এমনকি তাঁকে ফ্রান্সেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে চলেছে জোকারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা নিয়ে নানা নাটক। শেষমেশ অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়ে দিয়েছে, করোনা টিকা না নিলে জকোভিচকে খেলতে দেওয়া হবে না গ্র্যান্ডস্লাম। শেষমেশ সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি দুবাই চলে গিয়েছেন। জকোভিচের টিকাকরণ না হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ ছাড়পত্র পেয়ে মেলবোর্ন উড়ে গিয়েছিলেন জোকার। কিন্তু সেখানে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সার্বিয়ার তারকার ভিসার আবেদনপত্রে ভুল থাকায় তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। দু’বার বাতিল করে দেওয়া হয় জকোভিচের ভিসা। যার জেরে তাঁকে রাত কাটাতে হয় ডিটেনশন সেন্টারেও। শেষমেশ আইনি লড়াইয়ে হেরে মাথা নত করেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু এরপরেও মিটল না সমস্যা। সোমবারই ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, টিকা সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন করেছে তারা। তাতে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, জনবহুল স্থানে, মূলত, রেস্তোরাঁ, কাফে, সিনেমা হল, দূরপাল্লার ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গায় প্রবেশের জন্য টিকাকরণের সার্টিফিকেট আবশ্যক। এমনকি ফ্রান্সের ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নিয়ম সকলের জন্যই এক হওয়া উচিত। তাই করোনা ভ্যাকসিন নিতেই হবে জকোভিচকে, না হলে তাঁকে এ দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। জোকার যদিও জানিয়েছেন, তিনি টিকা নেওয়ার বিরোধী, তিনি মনে করেন, টিকা নেওয়া থাকলেও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে, তা হলে না নিলে আর কী ক্ষতি হবে! ফ্রেঞ্চ ওপেন হবে মে মাসে, তার আগে পরিস্থিতি সহজ হয়ে যেতে পারে। ফরাসি সরকার জানিয়ে রেখেছে, সংক্রমণ ঠেকাতে তারা টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে। টিকা না নিলে নানা সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হতে হবে মানুষকে।