শেষ আপডেট: 20th October 2024 21:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রথম থেকেই কৃষ্ণনগর কাণ্ডে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিল পরিবার। অথচ ময়নাতদন্তে রিপোর্টে তেমন কোনও উল্লেখ নেই। বরং রিপোর্টে বলা হচ্ছে তরুণীর শরীরে কোনও শারীরিক নির্যাতন বা ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। দেহের কোনও অংশেই আঘাতের চিহ্ন নেই। ৯০ শতাংশ দগ্ধ শরীরের পুড়ে গিয়েছিল তাঁর মুখ ও দেহের নিম্নভাগ।
রিপোর্ট বলছে, শরীরে পুড়ে যাওয়ার যে ক্ষত চিহ্ন মিলেছে তার সবটাই 'থার্ড' বা 'ফোর্থ ডিগ্রির'। মাথার চুল, দু'টি হাত ও মুখের বেশিরভাগটাই পুড়ে গেছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে কেরোসিন তেল জাতীয় কিছু দিয়ে গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ করা হয়েছে শ্বাসনালীতে কার্বনের অস্তিত্বের কথাও।
জানা যাচ্ছে ভিসেরা, ইউটেরাস সারভিক্স, ফেলোপিয়ান টিউব, জরায়ু থেকে নমুনা নিয়ে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কৃষ্ণনগরে তরুণীর মৃত্যুর রহস্যে যবনিকা টানতে ঘটনার সময়ের ১ ঘণ্টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিশ। শনিবার প্লেস অফ অকারেন্স, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় যে স্থানে ঘটনার ঘটেছে সেই জায়গায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে চিকিৎসকরা ছাত্রীর মৃত্যুর আগে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আর প্লেস অফ অকারেন্সে যদি কোনও বিভ্রান্তি থাকে, তাহলেই এহেন পরিদর্শন করার রীতি আছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, ১৬ অক্টোবর সকালে কৃষ্ণনগরের আশ্রমপাড়া এলাকায় মহিলা পরিচালিত একটি পুজো মণ্ডপের সামনে থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। তার দেহ অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে কয়েকজন দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
এরপরেই স্কুল ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের প্রেমিক রাহুল বসুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান তারা। এরপরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে যুবকের ধৃত যুবকের বাবা-মা ও দুই বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
যদিও প্রথম থেকেই ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার কথা উড়িয়েছে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে ময়নাতদন্তকারী বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাননি। আর এবার রিপোর্টেও সেটাই পরিষ্কার হল।