শেষ আপডেট: 7th October 2024 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বকেয়া বেতনের দাবিতে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে বাটি হাতে ভিক্ষা করেছিলেন এনএসকিউএফ এর চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা। যদি প্রশাসনের টনক নড়ে। কিন্তু নাহ, পুজো চলে এলেও ৩ মাসের বেতন এখনও পাননি চুক্তিভিত্তিক এই শিক্ষক, শিক্ষিকারা।
সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক সত্যজিৎ ঘোষ বলেন, "তিন মাস বেতন দিচ্ছে না, বোনাসও দেয় না। আমাদের কোনও পুজো নেই।"
একই সঙ্গে থ্রেট কালচার-সহ দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হয়েছেন তিনি। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারিকরণ বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি সংগঠনের তরফে মুখ্য সচিবকে ই-মেইলও করা হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১১ বছরে তাঁদের বেতন এক টাকাও বৃদ্ধি হয়নি। উপরন্তু শিক্ষকদেরও মাসের বেতন মাসে সুনিশ্চিত নেই, ২ থেকে ৬ মাস অন্তর বেতন হয়। শিক্ষিকাদের মাতৃত্বকালীন কোনও সুযোগ সুবিধাও নেই। টানা ৩৫ মাস বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টরা। এমনকী বকেয়া বেতনের কথা বলতে গেলে ছাঁটাইয়ের হুমকিও দেওয়া হয়।
রাজ্যের ১৬১১ টি সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬ টি বিভিন্ন বৃত্তিমূলক বিষয়ে ২৯০০ জন এনএসকিউএফ এর চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, শিক্ষিকা কর্মরত। ইনফরমেশন টেকনোলজি, হেল্থ কেয়ার, অ্যাপারেল, প্লাম্বিং, ফুড প্রসেসিং, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি বিষয়ে তাঁরা পড়ান। ২০১৩ সালে এই শিক্ষকদের সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে 'ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশনের' অন্তর্গত ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (এনএসকিউএফ) প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্থায়ী বিষয়গুলিতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। অভিযোগ, তারপর থেকে ন্যূনতম সরকারি সুযোগ সুবিধাও পান না তাঁরা।