শেষ আপডেট: 20th August 2020 06:30
জয়েন্ট-নিট পরীক্ষা পিছোনোর প্রশ্নই নেই, অ্যাডমিট কার্ডও চলে এসেছে, স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জয়েন্ট-এন্ট্রাস মেইন) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট-ইউজি) পিছোনোর আর্জি আগেই খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরেও করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল একাধিক ছাত্র সংগঠন। আজ, শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড চলে এসেছে। সেই অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডও করে ফেলেছেন কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী। তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং নির্ধারিত সময়সূচীতেই সব সুরক্ষাবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণেই এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। সেদিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট-এন্ট্রাস ও নিট পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিল ১১ জন পড়ুয়া। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণেই এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। সেদিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনটিএ জানিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার সাড়ে ছ’লাখ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে ফেলেছে। রেজিস্ট্রেশন হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লাখ পরীক্ষার্থীর। সূত্রের খবর, ৯৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র নির্বাচন করেছে। এমন অবস্থায় পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা নিট পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল-মে মাসেই হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সেই সময় দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল। তাই সুরক্ষাবিধির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল, সব পরীক্ষাই হবে জুলাইতে। জয়েন্ট পরীক্ষার দিন ফেলা হয়েছিল ১৮ থেকে ২৩ জুলাই এবং নিট পরীক্ষার দিন ঠিক হয়েছিল ২৬ জুলাই। কিন্তু, জুলাই মাসেও দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরীক্ষা ফের পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুম্বই ও দিল্লির ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের তরফে জোরালো আপত্তি ওঠে। কারণ এই দুই শহরেই সংক্রমণের পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে অনলাইনও পিটিশনও দাখিল হয়েছিল। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিলেন দেশের বাইরে থাকা পড়ুয়ারাও। সেই পিটিশন খারিজ করে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, রোনার জন্য ছ’মাস নষ্ট হয়ে গেছে। পরীক্ষা আরও পিছোলে ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারে বড় ধাক্কা আসবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সায় দিয়ে কেন্দ্র ও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা জানিয়েছেন, সুরক্ষাবিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের নিয়মও মানা হবে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে।