শেষ আপডেট: 24th September 2024 23:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকাল থেকে বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে লোকে লোকারণ্য। পুষ্প বৃষ্টি হচ্ছে। অনুব্রতর জয়গান গেয়ে ঘন ঘন স্লোগান উঠছে। হাজির ব্যান্ড পার্টিও!
এ সব দেখে রাগে গর্জে উঠলেন আনন্দ গোপাল ঘোষ। সম্পর্কে অনুব্রতর শ্যালক, সুকন্যার মামা। প্রশ্ন তুললেন, "দু্র্দিনে এরা কোথায় ছিল?" খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই, "সেদিন তোমরা পাশে থাকোনি, আজকে হঠাৎ কেন? নিশ্চয়ই কোনও স্বার্থ আছে।"
বোলপুরেই একটি ছোট্ট দোকান রয়েছে আনন্দ গোপালের। মঙ্গলবার দুপুরে দোকানে বসে উগড়ে দিলেন একরাশ ক্ষোভ। কথায় কথায় ফিরে গিয়েছিলেন ২০২২ সালের ১১ অগস্টে। বলছিলেন, "সিবিআই যখন গ্রেফতার করতে এসেছিল তখন অনুব্রত আমাকে ফোন করে কেঁদেছিল। কারণ, সেদিন কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ কাউকে পাশে পাইনি। এমনকী অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর মেয়েটাকে পর্যন্ত কেউ দেখেনি।"
এদিনের উপচে পড়া ভিড়ের দিকে আঙুল দেখিয়ে বলছিলেন, "সবাই এখন গদগদ ভঙ্গিতে হাজির হয়েছে। যেন কত ভালবাসে। অথচ দুর্দিনে ভাগ্নিটা অনেকদিন খেতে পর্যন্ত পাইনি। আপনারাই বলুন না, অনুব্রতর দয়ায় যারা আজ করে কম্মে খাচ্ছে তাদের উচিত ছিল না দুর্দিনে মেয়েটাকে দেখার?"
এও বললেন, "এমনকী আমি তাদের সঙ্গে মিটিংও করেছি, যাতে মেয়েটাকে দেখে, কিন্তু তারা কেউ দেখেনি। আজকে সেই মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সবাই ছুটে আসছে । আমি একদম বারণ করে দিয়েছিলাম এদের কাউকে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়।"
প্রসঙ্গত, এদিন কেষ্টর চৌকাঠে পৌঁছেও দেখা করার ছাড়পত্র পাননি রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী-সহ জেলার একাধিক নেতা। তাঁদের সঙ্গে দেখাও করেননি অনুব্রত।
কথায় কথায় চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে প্রবীণ আনন্দগোপালের। বললেন, "চোখের সামনে সবটা দেখলাম, কে বন্ধু, আর কে শত্রু। আমি কেষ্টকে কানে কানে সবটা বলে দেব!"