শেষ আপডেট: 10th September 2024 16:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনায় বার বার রাত দখল নিয়ে সোমবার তাঁর পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এভাবে রাত পাহাড়া দেওয়া পুলিশের কাজ নয়। পুজোর সময়ে রাতে এমন পুলিশি ব্যবস্থা থাকে, কোনও অশান্তির ঘটনা হলে থাকে, কিন্তু সেটা নৈমিত্তিক হতে পারে না। তা ছাড়া রাতে এত সোরগোল হলে অনেক প্রবীণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে বলেও মত মুখ্যমন্ত্রীর।
সূত্রের দাবি, নবান্নের এই বার্তার পরই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আগাম অনুমতি ছাড়া শহরে কোনও মিছিল-মিটিং করা যাবে না।
প্রশাসনের শীর্ষ সূত্রে এও বলা হচ্ছে, বহু মিছিল ও মিটিং নাগরিক মঞ্চের নামে রাজনৈতিক দলগুলি সংঘটিত করছে। কলকাতায় এ ব্যাপারে বিশেষ ভাবে সক্রিয় সিপিএম। পাড়ায় পাড়ায় তারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে মিছিলের আয়োজন করছে বা স্কুলের প্রাক্তনীদের গ্রুপ বানিয়ে আন্দোলন সংঘটিত করছে। সুতরাং বিষয়টি আর ১৪ অগস্টের মতো পুরোদস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নেই। এ সবের নেপথ্যে এখন অনেকটাই রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে বলে মনে করছে শাসক দল ও সরকার।
সোমবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেছিলেন, সর্বোচ্চ আদালত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা না দেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু রোজ রোজ পথ আটকে মিছিল, মিটিং করে সাধারণের অসুবিধা তৈরি করা হচ্ছে। জবাবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, সরকার এ বিষয়ে আইনমতো পদক্ষেপ করতে পারে। তাতে কোনও বাধা নেই।
এর পরই আগের তুলনায় কিছু কড়া হতে চাইছে লালবাজার। সরকারের এক মন্ত্রীর কথায়, এমন নয় যে সরকার গায়ের জোরে প্রতিবাদ আন্দোলন বন্ধ করতে চাইছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে রাস্তা অবরোধ, অচলাবস্থা তৈরি করে মানুষের অসুবিধা সৃষ্টি করা—এসব আটকানোর চেষ্টা হবে এবার।
আরজি করের ঘটনার পর পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পর আবার বুধবার আরএসএসের মিছিল রয়েছে কলকাতায়। এ ব্যাপারে আরএসএস অবশ্য আদালতের থেকে অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু এবার সম্ভবত অনুমতি ছাড়া মিছিল মিটিংয়ে আপত্তি আসতে পারে পুলিশের থেকে।