মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 25th March 2025 07:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সদ্য হলুদ পতাকায় ছেয়ে ফেলা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতা। তাতে লেখা 'অধিনায়ক অভিষেক' (Abhishek Banerjee)। বিতর্ক বাঁধতেই রাতারাতি সেই পতাকার পাশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি সম্বলিত হোর্ডিং ঝুলিয়ে লেখা হয় 'সর্বাধিনায়িকা জয় হে'। এ ঘটনা হালের। বহু দিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে যে গুঞ্জন গুণ গুণ করছে তা হল অভিষেক-মমতার 'বিরোধ' (Mamata- Abhishek Relation)। কখনও সে কোন্দল প্রকাশ্যে আসে, কখনও রেখেঢেকে রাখার চেষ্টা চলে।
নবীন-প্রবীণ তর্কের সূত্রে বারবারই দল ও সরকারে অভিষেকের ‘ভূমিকা’ নিয়ে চর্চা হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কখনও কখনও এই তরজায় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দুই শিবিরও স্পষ্ট হয়েছে। যদিও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের কর্মিসভার বৈঠক থেকে পরিষ্কার করে অভিষেক বলে দিয়েছিলেন, "অনেকে বলছে, আমি নাকি বিজেপিতে চলে যাব। আমি নাকি নতুন দল গড়ছি। আমি বলছি, আমার গলা কেটে ফেললেও ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ' স্লোগান বেরোবে।"
সংসদের বাজেট অধিবেশনের জন্য এখন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ (Diamond Harbour MP) দিল্লিতে রয়েছেন। তৃণমূলের সাংসদীয় টিমের সদস্যদের সঙ্গে সোমবার ঘরোয়া আলোচনার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দিচ্ছিলেন অভিষেক। সেখানেই মমতা-অভিষেক কেমিস্ট্রি নিয়ে যাবতীয় ভুজুং-ভাজুং বিতর্কের স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন তিনি।
মমতার সঙ্গে তাঁর বিরোধ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, "দলনেত্রীর সঙ্গে বিরোধ স্রেফ কিছু লোকের 'কষ্টকল্পনা'। এঁরাই জল্পনা তৈরি করেন, অপপ্রচার চালান। দলে কোনও বিরোধ নেই। দলের মধ্যে আমাকে, দিদিকে নিয়ে যাঁরা এ সব বলেন, তাঁরা কাল্পনিক প্রচার করেন। আমি স্ট্র্যাটেজি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লবি করব? আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
রাজ্য-রাজনীতিতে তৃণমূলের নেত্রী এবং সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের 'সম্পর্ক' নিয়ে যে সব হাবজি-গাবজি চর্চা চলছে তার বাইরে বেরিয়ে অভিষেকের স্পষ্ট জবাব দলের 'আশাবাদী' অংশকে আরও আশাবাদী করে তুলেছে বইকি।