শেষ আপডেট: 20th October 2023 08:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আজ শুক্রবার মহাষষ্ঠী। মায়ের বোধন হবে আজ। বাঙালির কাছে পুজো মানেই অন্যরকম আবেগ। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পুজো সংখ্যা, পুজোর গান, আর অবশ্যই বেড়ানো। পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার জন্য বহু আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট, হোটেল বুকিং সারা থাকে বাঙালির। এ বছর যদিও সিকিমের আকস্মিক হড়পা বান ও বিপর্যয়ে পড়শি রাজ্যে ঘুরতে যাওয়ার টিকিট বাতিল করেছেন অনেকেই। বদলে বেড়েছে আর এক পড়শি রাজ্যে ঘুরতে যাওয়ার চাহিদা। পুজোর ছুটিতে নাকি পুরীর সৈকতে সময় কাটাতে যাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু শিকে ছেঁড়েনি রাজ্যের সৈকতের কপালে। দিঘা নাকি এবছর প্রায় জনশূন্য।
অথচ গত বছর ছবিটা ছিল একদম উল্টো। ২০২২ সালের পুজোয় ভরপুর বুকিং পেয়েছিলেন দিঘার হোটেল মালিকরা। আগাম বুকিং-এর ফলে যাঁরা পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া হঠাৎ করেই পুজোর মাঝে দিঘায় চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা রীতিমত বিপদে পড়েছিলেন। সেবার ষষ্ঠী থেকে দশমী হাটেলে ঘর জোগাড় করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছিল পর্যটকদের। কিন্তু এই বছর একেবারে উল্টো ঘটনা।
হোটেল মালিকরা জানাচ্ছেন, ভিড় তো দূর, বাংলার প্রাচীন সৈকত-শহর প্রায় জনশূন্যই বলা যায়। অল্প-বিস্তর আগাম বুকিং হলেও এখনও ফাঁকাই পড়ে রয়েছে বেশিরভাগ হোটেলের ঘর। হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটক আসছেন বটে, কিন্তু তাতে দিঘার সেই চেনা ছবির কণামাত্র ধরা পড়ছে না।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে কোনও বড় ছুটি, যেমন দুর্গাপুজো, কালীপুজো, বড়দিন কিংবা বাংলা নববর্ষের আগে প্রায় সমস্ত হোটেল বুকিং হয়ে যায় বরাবর। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিতে তাঁরা কার্যত হতাশ।
কিন্তু পুরীতে যেখানে এত ভিড়, সেখানে দিঘায় এমন হাঁড়ির হাল কেন? এর স্পষ্ট উত্তর কারওর কাছেই নেই। অনেকের দাবি, যেহেতু এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস, তাই হয়তো এই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় বেড়াতে এসে পুজোর আনন্দ মাটি করতে চাইছেন না কেউ। যদিও পুজোয় দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় খুবই সামান্য এবং বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্ভবত বাঙালি এবার অতিসতর্ক। তাই পুজোর বাজারেও মাথায় হাত দিঘার হোটেল মালিকদের।